নৌ-দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যু হলেও এর দায় কেবল সংশ্লিষ্ট নাবিক ও শ্রমিকদের ওপর চাপাতে চান নৌযান মালিকরা। তাদের যুক্তি হল- চলন্ত অবস্থায় তারা নৌযানে থাকেন না। এই যুক্তিতে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল আইনের খসড়া থেকে মালিকদের নাম ও দণ্ড বাদ দেয়ার প্রস্তাব করেছেন তারা।
এমনকি নৌ-দুর্ঘটনার পর গঠিত তদন্ত কমিটিতে মালিকপক্ষের প্রতিনিধি রাখার বিধান যুক্ত করারও প্রস্তাব দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য হল, নৌ-দুর্ঘটনার দায় সংশ্লিষ্ট চালকের পাশাপাশি মালিকও এড়াতে পারেন না। কারণ নৌযানে দক্ষ ও যোগ্য চালক-নাবিক নিয়োগের দায়িত্ব মালিকের। চালক ও নাবিক দক্ষ না হলে সেক্ষেত্রে দুর্ঘটনার দায় মালিকের ওপরও বর্তায়।
নৌযান নির্মাণে কোনো ত্রুটি থাকলে তার দায়ও মালিককে নিতে হবে। নৌযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকলে এবং তা দুর্ঘটনার কারণ হলে এর দায়ও মালিক এড়াতে পারেন না। অতিরিক্ত যাত্রী বহন অনেক সময় লঞ্চডুবির কারণ হয়ে থাকে। এর দায়ও অনেকাংশে মালিকের ওপর বর্তায়; কেননা মালিকের সম্মতি বা ইঙ্গিত ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন সম্ভব নয়।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী দুর্ঘটনায় মালিকদেরও দায় রয়েছে। তবে আমরা মনে করি, শুধু চালক বা মালিক নন, কোনো সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেও যদি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত। তা না হলে নৌ-দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না।
অতীতের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌ-দুর্ঘটনায় কারও তেমন কোনো শাস্তি হয় না। এ কারণে দুর্ঘটনা রোধে প্রথমেই কঠোর শাস্তির বিধান করা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে তৈরি করা অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল আইনের খসড়া ২০১৮ সালে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়েছিল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, যাতে নৌযান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নৌযান মালিক-শ্রমিক নেতাদের চাপের মুখে আইনটির চূড়ান্তকরণ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। তারা দণ্ড কমানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নৌ-দুর্ঘটনা রোধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনটি চূড়ান্ত করা।
নৌযান নির্মাণে কোনো ত্রুটি থাকলে তার দায়ও মালিককে নিতে হবে। নৌযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকলে এবং তা দুর্ঘটনার কারণ হলে এর দায়ও মালিক এড়াতে পারেন না। অতিরিক্ত যাত্রী বহন অনেক সময় লঞ্চডুবির কারণ হয়ে থাকে। এর দায়ও অনেকাংশে মালিকের ওপর বর্তায়; কেননা মালিকের সম্মতি বা ইঙ্গিত ছাড়া লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন সম্ভব নয়।
তাছাড়া আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী দুর্ঘটনায় মালিকদেরও দায় রয়েছে। তবে আমরা মনে করি, শুধু চালক বা মালিক নন, কোনো সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণেও যদি নৌ-দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে তাদেরও আইনের আওতায় আনা উচিত। তা না হলে নৌ-দুর্ঘটনা রোধ করা যাবে না।
অতীতের ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, নৌ-দুর্ঘটনায় কারও তেমন কোনো শাস্তি হয় না। এ কারণে দুর্ঘটনা রোধে প্রথমেই কঠোর শাস্তির বিধান করা উচিত।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে তৈরি করা অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল আইনের খসড়া ২০১৮ সালে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়েছিল নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, যাতে নৌযান দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়।
কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, নৌযান মালিক-শ্রমিক নেতাদের চাপের মুখে আইনটির চূড়ান্তকরণ বারবার পিছিয়ে যাচ্ছে। তারা দণ্ড কমানোর জন্য চাপ দিয়ে আসছেন। এ ক্ষেত্রে সরকারের উচিত হবে কোনো ধরনের চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে নৌ-দুর্ঘটনা রোধের বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আইনটি চূড়ান্ত করা।
নাবিক বা অন্য কারও অদক্ষতা, অবহেলা বা শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সৃষ্ট দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হলে কার কী ধরনের সাজা হবে তা স্পষ্টভাবে আইনের খসড়ায় থাকা দরকার। সেই সঙ্গে সঠিক নকশা অনুযায়ী নৌযান নির্মাণ, নৌযানের ফিটনেস নিয়মিত তদারকি এবং চালক ও সহযোগীদের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে এ পুরো খাতটির ওপর কঠোর নজরদারির ব্যবস্থা করতে হবে।