বাংলাদেশে অবকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে এমন অভিযোগ রয়েছে যে বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পগুলো গ্রহণের সময় বাস্তবায়নের বিষয়টি মাথায় না রেখে ব্যয়ের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়। পরিকল্পনায় ত্রুটি থাকার কারণে অনেক ক্ষেত্রে সরকারের অর্থ ব্যয়ও বেড়ে যায়।
বিশেষ করে দীর্ঘসূত্রতা ব্যয় বৃদ্ধি করে, এটি জানার পরও সেদিকে নজর দেওয়া হয় না। গতকাল ‘পথহারা সেতু’ শিরোনামের খবরে পরিকল্পনার ত্রুটির বিষয়টিই যেন নতুন করে উঠে এসেছে। প্রকাশিত খবরে দুটি সেতুর বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
এর একটি হচ্ছে বরগুনার তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কের খালের ওপর সাত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মাণ সেতু। আরসিসি সেতুটির নির্মাণকাজ দুই-তৃতীয়াংশ শেষ হয়েছে। মাঝখানের অংশের কাজ হয়নি। জেলেদের দাবির মুখে কর্তৃপক্ষ মাঝ বরাবর উঁচু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে সেতুর নকশা পাল্টাতে হবে। মাঝ বরাবর করা হবে ইস্পাতের কাঠামো। এতে খরচও বাড়বে। কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর গত এক বছরেও নির্মাণকাজ শুরু হয়নি। এর মধ্যে কাজের মেয়াদও শেষ হয়ে গেছে।
অন্য সেতুটির অবস্থান টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলায়। চার বছর আগে প্রায় ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়, কিন্তু সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কোনো কাজে আসছে না। সেতুর নকশায় ত্রুটি কিংবা সংযোগ সড়ক না থাকায় নির্মিত সেতু এলাকাবাসীর কোনো কাজে আসছে না, এ ধরনের খবর আগেও প্রকাশিত হয়েছে।
গত জুলাইয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামের হাজিরহাট এলাকায় প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দুটি সেতু এলাকাবাসীর কোনো কাজেই আসছে না। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের আওতায় যে সেতুটি করা হয়েছে, সেটিতে পাইলিংয়ের বদলে বেইস ঢালাইসহ নানা অনিয়ম হয়েছে পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের তারাবুনিয়া খালের ওপর প্রায় পাঁচ কোটি।