বাসার কাছাকাছি নেমে হেঁটে ফিরছিলেন নিজের বাসায়। সেখানে অপেক্ষায় ছিল তাঁর শিশুসন্তান। দীপুও তো সন্তানকে বুকে টেনে নিয়ে দিনের সব ক্লান্তি ভুলে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন তিনি। হঠাৎ ওপর থেকে একটি কংক্রিটের ব্লক পড়ল তাঁর মাথায়।
সহকর্মীরা এসে পেলেন মৃত দীপু সানাকে। স্বামী এসে দেখলেন তাঁর প্রিয়তমা স্ত্রী আর নেই। ঘরে সন্তানের অপেক্ষার পালা তো আর এ জীবনে শেষ হবে না। কিছু বুঝে ওঠার বয়স হওয়ার আগেই পৃথিবীর পরম নির্ভরতা মাকে হারাল সে।
এ শহর কবে বাসযোগ্য হবে? নাগরিক নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে প্রতি পদে। দীপু সানা তার শেষ প্রমাণ। এ শহরে নির্মাণসামগ্রী রেখে দেওয়া হয় রাস্তায়। ফুটপাত চলে যায় অন্যের দখলে। বড় বড় ভবন ওঠে নিরাপত্তাবেষ্টনী ছাড়াই। নির্মাণাধীন ভবনের সামনে একটি নোটিশ বোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েই যেন সবার দায়িত্ব শেষ।
দীপু সানার স্বামী বাদী হয়ে রমনা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তদন্ত হোক। নিরাপদ হোক এ শহর। এমন অকালমৃত্যু দেখতে চাই না আমরা।