প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় গত বছরের ৫ ও ৬ আগস্ট দেশের বিভিন্ন থানা ও কারাগার থেকে লুট হওয়া অস্ত্র চলে গেছে ডাকাতদের হাতেও।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় সারা দেশে অনেক থানায় হামলা হয়। অস্ত্র, গোলাবারুদ লুট হয়। কয়েকটি কারাগারেও হামলা হয়।
ওদিকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার ছয় বছর পর ফের দস্যুদের আবির্ভাব দেখা দিয়েছে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে। সম্প্রতি বনের বিভিন্ন এলাকা ও বনসংলগ্ন সাগরে জেলে অপহরণ, লুটপাটসহ বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।
লুট হওয়া ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী যেমন তোড়জোড় শুরু করেছিল, সেটির গতি অনেকটাই কমে গেছে। অনেক ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ চেইন অব কমান্ডও মানছে না। মানছে না সদর দপ্তরের নির্দেশনাও। বিভিন্ন অজুহাতে তারা থাকছে নিষ্ক্রিয়।
এমনিতেই গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর একটি দীর্ঘ সময় পুলিশের নিয়মিত কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। পুলিশের বহু গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ায় তাদের চলাচলেও সমস্যা রয়েছে। আর এই সুযোগে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে ডাকাত, ছিনতাইকারী ও দস্যুরা। দিন দিন অপরাধ বাড়ছে।
এ অবস্থা মানুষের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। মানুষ নিরাপদে মান-সম্মান নিয়ে বাঁচতে চায়। তাই সারা দেশে পুলিশি কর্মকাণ্ড দ্রুত স্বাভাবিক করতে হবে। প্রয়োজনে আবার যৌথ বাহিনীর অভিযান চালাতে হবে। মানুষকে নিরাপত্তা ও স্বস্তি দিতে হবে।