English

20 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

নিরাপত্তা নিয়ে ভাবুন: রেলপথে নাশকতার শঙ্কা

- Advertisements -
যাত্রী নিরাপত্তা, সাশ্রয়ী পরিবহন, যাত্রীপ্রতি পরিবেশদূষণ অত্যন্ত কম হওয়াসহ নানা কারণে বিশ্বজুড়ে গণপরিবহন হিসেবে ট্রেনের কদর বাড়ছে। বাংলাদেশেও যোগাযোগব্যবস্থায় রেলপথের অবদান ক্রমেই বাড়ছে। কিন্তু এখনো রক্ষণাবেক্ষণ এবং ব্যবস্থাপনাগতসহ রেলপথে অনেক সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার ভোররাত সোয়া ৪টার দিকে গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথের বনখড়িয়া এলাকায় ঢাকাগামী আন্তনগর ট্রেন মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হলে একজন নিহত ও পাঁচ যাত্রী আহত হন। দুর্ঘটনার পর জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রেললাইনের একটি অংশ দুর্বৃত্তরা কেটে ফেলেছিল। সংশ্লিষ্ট সব মহলই এই দুর্ঘটনাকে নাশকতা হিসেবে দেখছে।
কারণ কেটে ফেলা অংশটি পাশেই পড়ে ছিল। রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (ট্রান্সপোর্টেশন অ্যান্ড কমার্শিয়াল) সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, রেললাইনের অন্তত ২০ মিটার অংশ গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছেই একটি গ্যাস সিলিন্ডারও পাওয়া গেছে। এ ঘটনা তদন্তে রেলওয়ে ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি কমিটি করা হয়েছে।
দুটি কমিটিকেই তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ অক্টোবর সোমবার বিকেলে কিশোরগঞ্জের ভৈরব রেলওয়ে জংশন স্টেশন এলাকায় জগন্নাথপুর আউটার সিগন্যালের সামনে মালবাহী ট্রেনের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রেনের দুটি বগি উল্টে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দেশের পুরনো এই রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বাংলাদেশ রেলওয়ে। সরকার রেলওয়েকে নতুন করে গড়ে তুলতে আন্তরিক।
নতুন নতুন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। বন্ধ হয়ে যাওয়া পুরনো রেলপথ নতুন করে চালু করা হচ্ছে। কোনো দিন ট্রেন চলেনি এমন অনেক এলাকায় রেললাইন স্থাপনের কাজ চলছে। অনেক এলাকায় এরই মধ্যে রেলপথ স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে।
ট্রেন চলাচল শুরুও হয়েছে। বর্তমান সরকার রেলওয়েকে আধুনিক করতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে নতুন কোচ ও ইঞ্জিন। কিন্তু যাত্রীদের সুরক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়ে এখনো প্রশ্ন আছে।
রক্ষণাবেক্ষণেও ঘাটতি থাকছে। রেললাইন থেকে ক্লিপ, নাটবল্টু চুরি হয়ে যায়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কয়েক মাস আগে করা সমীক্ষায়ও রেলওয়ের বহুবিধ সমস্যার চিত্র উঠে এসেছে।
বাংলাদেশে রেলপথে মুখোমুখি সংঘর্ষ, ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হওয়া, লেভেলক্রসিংয়ে অন্যান্য যানবাহনের সঙ্গে সংঘর্ষ অনবরত ঘটেই চলেছে। কিন্তু কেন এমন হচ্ছে?
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা, রেলপথে প্রয়োজনীয় তদারকির অভাবে ঘটছে এমন দুর্ঘটনা। রেলপথের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। ট্রেনভ্রমণ নিরাপদ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন