এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী শ্রমিক ও যাত্রীরা। এয়ারলাইনসের টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা ট্রাভেল এজেন্টদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) জানিয়েছে, এয়ার টিকিটের অতিরিক্ত মূল্যবৃদ্ধির নেপথ্যে অন্যতম প্রধান কারণ নামবিহীন গ্রুপ টিকিট বুকিং।
মধ্যপ্রাচ্যগামী কিছু এয়ারলাইনস তাদের পছন্দের কিছুসংখ্যক এজেন্সির নামে কোনো ধরনের পাসপোর্ট, ভিসা, ভ্রমণ নথিপত্র এবং প্রবাসগামী শ্রমিকদের কোনো বৈদেশিক ওয়ার্ক পারমিট, এমনকি যাত্রী তালিকা ছাড়াই শুধু ই-মেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন রুটের গ্রুপ সিট দু-তিন মাস অগ্রিম তারিখের প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড (পিএনআর) তৈরি করে সিট ব্লক করে রাখে। এর ফলে আসনসংকট দেখা দেয়, টিকিটমূল্য ২০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে যায়।
বুকিং প্রদানের তিন দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর নামে টিকিট ইস্যু না হলে এয়ারলাইনস স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ওই টিকিট বাতিল করবে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, টিকিটের মূল্যবৃদ্ধি কমাতে সরকারকে এয়ারলাইনসগুলোর পাশাপাশি ট্রাভেল এজেন্সিগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা বলে সমঝোতা করতে হবে। শুধু পরিপত্র জারি করলেই হবে না, পরিপত্রের শর্তগুলো যাতে সঠিকভাবে মানা হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। সার্বক্ষণিক মনিটরিং ব্যবস্থা চালু রাখতে হবে।