English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

নিয়মিত অভিযান চালাতে হবে: জেনেভা ক্যাম্পে মাদকের কারবার

- Advertisements -
দেশে মাদকসেবীর সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। শুধু তরুণ-যুবকরাই নয়, সব বয়সের মানুষ মাদকে আসক্ত হচ্ছে। একবার যারা মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ে, তারা আর তা থেকে মুক্ত হতে পারে না। অন্যদিকে মাদক সহজলভ্য হওয়ায় নতুন করে অনেকেই আসক্ত হচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে প্রকাশ্যে চলে মাদকের কারবার। প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে শীর্ষ মাদক কারবারির ছয়টি গ্রুপ মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করছে। তাদের রয়েছে তিন শতাধিক সদস্য। অন্তত ৫৫ জন শীর্ষ মাদক কারবারি তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।
পুলিশ বলছে, ক্যাম্পে কড়া নজরদারি চলছে। মাদক কারবারের তথ্য পেলে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়। সর্বশেষ গত সাত দিনে জেনেভা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকা থেকে ১৮০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে প্রতিনিয়ত ক্যাম্পে প্রচার চালানো হচ্ছে মাদক থেকে সরে আসতে।
ক্যাম্প ঘিরে থাকা গজনবী রোড, বাবর রোড, শাহজাহান রোড, হুমায়ুন রোডে রয়েছে পুলিশের ক্যাম্প, তল্লাশি চৌকি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর উপস্থিতি। তবে কিছুরই তোয়াক্কা করছে না ক্যাম্পে বসবাসকারীরা। ক্যাম্প থেকে মাদক নির্মূল করা যাচ্ছে না।
পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে, ক্যাম্পের অন্তত ৬৫ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে মাদকের সঙ্গে যুক্ত।

রাজধানী ঢাকার যে কয়েকটি স্পট মাদকের জন্য পরিচিত, তার মধ্যে একটি হলো মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্প।মুক্তিযুদ্ধের সময় আটকে পড়া অর্ধলাখ অবাঙালির বসবাস এখানে। স্বাধীনতার পর ধীরে ধীরে এই এলাকা পরিণত হয়েছে মাদকের আখড়ায়। জেনেভা ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী বিভিন্ন সময় অভিযান চালায়, কিন্তু এখানকার মাদক ব্যবসা থামছে না।

গত সেপ্টেম্বর মাসে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও যৌথ বাহিনীর অভিযানে এক শীর্ষ মাদক কারবারিসহ ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের মধ্যে ছিল তিন নারী মাদক কারবারি। অভিযানে বিপুল পরিমাণ দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও মাদক উদ্ধার করা হয়।

জেনেভা ক্যাম্প এলাকায় মাদকসংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দুটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে এবং নিয়মিত ফুট প্যাট্রল ও ব্লক রেইড হচ্ছে। মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পসহ আশপাশের এলাকায় যৌথ বাহিনীর বিশেষ অভিযানে সম্প্রতি ১৮০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।

তারা পেশাদার সন্ত্রাসী। বেশির ভাগই কিশোর-তরুণ গ্যাংয়ের সদস্য। গ্রেপ্তার হওয়া একেকজনের বিরুদ্ধে তিন থেকে ২৫টি পর্যন্ত মামলা রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মাদক চোরাচালানের গডফাদারদের আইনের মুখোমুখি করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে না পারলে মাদকের বিস্তার রোধ করা যাবে না। পাশাপাশি মাদকের অপব্যবহার রোধে পরিবারকেও আরো সচেতন হতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন