English

13 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিন: নিত্যপণ্য নিয়ে মতবিনিময়সভা

- Advertisements -
মূল্যস্ফীতির প্রভাব পড়েছে সর্বস্তরে। মূল্যস্ফীতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজার কোনোভাবেই স্থিতিশীল হচ্ছে না। ভোক্তার অস্বস্তি কাটছে না।
জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। কোনোভাবেই পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বাজার কোনোভাবেই সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে থাকছে না। মূল্যস্ফীতির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষ প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। সরকারের সামনেও বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি।

 

গত বুধবার রাজধানীর রমনায় প্রতিযোগিতা কমিশনের কার্যালয়ে ভোজ্য তেল, চিনিসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের সরবরাহ ও মূল্য পরিস্থিতির বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বেসরকারি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের মতবিনিময়সভা হয়েছে।

সেখানে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে,  আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে ভোগ্য পণ্যের দাম নির্ধারণে একটি নিরপেক্ষ কমিশন গঠন করা হলে গ্রাহকদের জন্য ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা যাবে। একই সঙ্গে সরবরাহব্যবস্থা ও এলসি খোলা নিরবচ্ছিন্ন করা দরকার।

ব্যবসায়ীরা মনে করেন সাপ্লাই চেইন ঠিক করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের দাম অনুসারে অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকে ডলার পাওয়া যায় না। পণ্যের মূল্য নির্ধারণে এই খরচের গ্যাপ থেকে যাচ্ছে। এ জন্য পণ্য সমন্বয়ে বৈষম্য রয়ে যাচ্ছে। ওই অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে আগামী সাত দিনের আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
এই সাত দিনের মধ্যে প্রতি কেজি ভোজ্য তেলের দাম ১২০, চিনির দাম ৯০ ও আলুর দাম ২৫ টাকায় নামিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি যত প্রতিষ্ঠান আছে, তারাসহ বেসরকারি যত ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আছে, তাদেরও এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

 

খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতির জন্য চাহিদা ও সরবরাহ দুটি কারণই দায়ী। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এর জন্য প্রয়োজন সমন্বয়। মূল্যস্ফীতি দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলছে। তাই পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘ভোক্তাবান্ধব, জনবান্ধব’ নীতি গ্রহণ করতে হবে। ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ করার ব্যবস্থা নিতে হবে।

বাংলাদেশের বাজার ব্যবস্থাপনা মোটেই সংগঠিত নয়। এর সুযোগ নিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীকে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে দেখা যায়। কোনো কোনো সময় বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেও পণ্যের দাম বাড়ানো হয়। চাহিদা সামনে রেখে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিংবা আন্তর্জাতিক বাজার থেকে বেশি দামে কিনেছেন—এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে কয়েক গুণ বেশি দামে পণ্য বিক্রি করেন।

পণ্যের, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের দেশের মূল্যস্ফীতির জন্য চাহিদা ও সরবরাহ দুটি কারণই দায়ী। অর্থনীতিবিদরা মনে করছেন, আমদানি ঠিক রেখে সাপ্লাই চেইন সচল রাখার মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও বাজারে স্বস্তি ফিরিয়ে আনা সম্ভব। সরকারের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ মূল্যস্ফীতি রোধ, যা দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় বড় প্রভাব ফেলছে। তাই পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন