মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা থেকে জারি করা সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, ‘এই মাদকটি মানবদেহে মারাত্মক ইনফেকশন, দৃষ্টিভ্রম, এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটাতে পারে। এটি অল্প পরিমাণে সেবন করলে সেবনকারী বাস্তব ভুলে কল্পনার জগতে বিচরণ করে।
সামান্য বেশি সেবনে মৃত্যু নিশ্চিত হয়ে পড়ে।’ ‘জোম্বি ড্রাগ’ কোনো একক মাদকের নাম নয়। ‘জাইলাজিন’ নামের একটি ট্রাংকুইলাইজার গরু বা ঘোড়ার ক্ষেত্রে চেতনানাশক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। সেই ওষুধ নিয়ে নেশা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মাদকসেবীরা।
প্রভাব ও স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য কখনো কখনো এর সঙ্গে মেশানো হচ্ছে ফেন্টানিল, হেরোইন, কোকেনের মতো অন্য মাদক। ওষুধটি যেহেতু ট্রাংকুইলাইজার, সে জন্য এই মাদককে ট্রাংকও বলা হয়।
ডিএনসি, পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের বার্ষিক সর্বশেষ যৌথ প্রতিবেদনের তথ্য নিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১০ মাসে দেশের বিভিন্ন থানায় এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে।
এতে এক লাখ ৪৮ হাজারের বেশি আসামি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা দেশে গত ১০ মাসে অধিদপ্তর ৮৫ হাজার ৮৬৫টি অভিযান চালিয়েছে। মামলা করেছে ২৩ হাজার ৩৯২টি। এসব মামলায় আসামি ২৪ হাজার ৮৮৯ জন।
মাদকের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে অনেক আগেই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছে, কিন্তু তার পরও থেমে নেই মাদকের কারবার। বাড়ছে আসক্তের সংখ্যা। তরুণসমাজে মাদকাসক্তি ভয়ংকর রূপ নিচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে মাদক সিন্ডিকেট। মাদকাসক্তরাও জড়িয়ে পড়ছে নানা অপরাধে। মাদকের প্রভাব সামাজিক বিপত্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এভাবে চলতে থাকলে সমাজ ক্রমেই পঙ্গু হয়ে যাবে, সব উন্নয়ন প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে। তাই মাদকের এই বিস্তার নিয়ন্ত্রণহীন অবস্থায় চলে যাওয়ার আগেই সর্বাত্মকভাবে তা প্রতিরোধের উদ্যোগ নিতে হবে।