English

26 C
Dhaka
মঙ্গলবার, জানুয়ারি ১৪, ২০২৫
- Advertisement -

নদীতে বর্জ্য ফেলা বন্ধ করুন: চুনারুঘাট পৌরসভা

- Advertisements -
আমাদের শহরগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা মোটেও আধুনিক নয়। গৃহস্থালি, প্লাস্টিক-পলিথিন, কঠিন বর্জ্য, রাসায়নিক ও মেডিক্যাল বর্জ্য- সবই একত্রে সংগ্রহ করা হয়। এসব বর্জ্য কোনো উন্মুক্ত জায়গায়, রাস্তার পাশে, এমনকি নদী-খালে ফেলে দেওয়া হয়। অনেক সময় উন্মুক্ত স্থানের ময়লা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
এতে মারাত্মক বায়ুদূষণ ঘটে। রাবার-প্লাস্টিক বা রাসায়নিক বর্জ্য পোড়ানো ধোঁয়া যারা নিঃশ্বাসের সঙ্গে গ্রহণ করবে, তারা ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য নানা ব্যধিতে আক্রান্ত হতে পারে। অথচ দেশের বেশির ভাগ শহর-নগরে অত্যন্ত ক্ষতিকর এই কাজটি নিয়মিত করা হচ্ছে। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা হলেও এখানে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট কোনো জায়গা নেই।
সে কারণে শহরের পাশেই মরা খোয়াই নদীর সেতুর দুই দিকে সড়কের পাশে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা। পরবর্তী সময়ে এই ময়লা গিয়ে পড়ছে নদীতে। বর্তমানে নদী যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। মাঝে মাঝে ভাগাড়ে আগুন দেওয়ায় আশপাশের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হচ্ছে। শুধু চুনারুঘাট নয়, সারা দেশেই কমবেশি একই অবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। শহরের মধ্য দিয়ে কিংবা পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী-খালগুলোতে আবর্জনা ফেলা হয়। ঢাকার চারপাশের নদীগুলো ভরাট হওয়ার পেছনেও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব একটি বড় কারণ।
আর এর পেছনে রয়েছে নগর কিংবা পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলা, নীতিনির্ধারকদের চিন্তার দীনতা কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগের অভাব।
নগরে লাখ লাখ মানুষের বসবাস। প্রতিটি পরিবারে প্রতিদিন তরিতরকারির খোসা থেকে শুরু করে নানা রকম বর্জ্য তৈরি হয়। এসব বর্জ্য ঘরে জমিয়ে রাখা যাবে না। এ জন্য নগর কর্তৃপক্ষের সঠিক ব্যবস্থাপনা থাকা প্রয়োজন।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, আমাদের সে রকম ব্যবস্থাপনা নেই বললেই চলে। উন্নত দেশগুলোতে বর্জ্য রিসাইকল বা পুনর্ব্যবহারের নানা রকম উদ্যোগ রয়েছে। জৈব সার থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ উৎপাদন পর্যন্ত অনেক কিছুই করা হয় এসব বর্জ্য ব্যবহার করে।
ঢাকার আমিনবাজার এলাকায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিদিন তিন হাজার টন বর্জ্য ব্যবহার করে এখানে ৪২.৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। ২০২৫ সালের অক্টোবর নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। একই ধরনের উদ্যোগ অন্তত বিভাগীয় শহরগুলোতে নেওয়া যেতে পারে।
আশপাশের ছোট শহরগুলোর বর্জ্য সেখানে পরিবহন করা হবে। একই সঙ্গে পচনশীল বর্জ্য থেকে জৈব সার উৎপাদনের ছোটখাটো প্রকল্প সব শহরেই নেওয়া যেতে পারে।
আমরা আশা করি, চুনারুঘাটে খোয়াই নদীর পারে আবর্জনা ফেলা অবিলম্বে বন্ধ করা হবে। কোনোভাবেই নদীর ক্ষতি করা যাবে না। পাশাপাশি কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি জাতীয় পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন