English

28 C
Dhaka
বৃহস্পতিবার, জুলাই ৪, ২০২৪
- Advertisement -

নজরদারি বাড়াতে হবে: বেড়েছে সাইবার অপরাধ

- Advertisements -
আইটি খাতে বাংলাদেশ অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছে। কিন্তু যেকোনো প্রযুক্তির মতোই ডিজিটাল প্রযুক্তিও খারাপ লোকের হাতে পড়ে খারাপ উপায়ে ব্যবহৃত হতে পারে। আর এর শিকার হয় সাধারণ মানুষ। শিকার হচ্ছে তরুণী, কিশোরীরা।
প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছেদেশে সাইবার অপরাধের শীর্ষে রয়েছে হ্যাকিং। সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিক্যাফ) গত শনিবার অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ প্রবণতা ২০২৪’ এবং ‘স্মার্ট বাংলাদেশ : উদীয়মান প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ  সম্ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনাসভায় একটি গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য তুলে ধরে জানিয়েছেএখন দেশে রেকর্ড হওয়া মোট অপরাধের ১১.৮৫ শতাংশই সাইবার অপরাধ।
আর এই অপরাধের শিকার হওয়া ৫৯ শতাংশই নারী। সিক্যাফের গবেষণায় দেখা যায়এক বছরে বাংলাদেশে যতগুলো সাইবার অপরাধ হয়েছে, তার ২১.৬৫ শতাংশই হ্যাকিং সংক্রান্ত সাইবার অপরাধ।

আর এই অপরাধের শিকার হচ্ছে মূলত ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষ। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২৩ সালে দেশে সাইবারজগতে পর্নোগ্রাফি বিষয়ক অপরাধ বৃদ্ধির প্রবণতা দেখা গেছে। সাইবার অপরাধের শিকার হওয়া ১১.৩৫ শতাংশই পর্নোগ্রাফি অপরাধের শিকার হয়েছে।

আর্থিক প্রতারণাও করা হচ্ছে বহু মানুষের সঙ্গে।

সিক্যাফের প্রতিবেদন বলছে, গত বছর ১৩.৬৫ শতাংশ শিশু সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগীদের ৪৭.৭২ শতাংশ সামাজিকভাবে মর্যাদা হারিয়েছে। ৪০.১৫ শতাংশ আর্থিক ক্ষতির শিকার হয়েছে। এই অপরাধের শিকার হওয়া প্রায় সবাই মানসিক যন্ত্রণার শিকার হয়েছে। ভুক্তভোগীদের মাত্র ১২ শতাংশ আইনের আশ্রয় নিয়ে থাকে।

সিক্যাফের গবেষণা বলছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর কাছে অভিযোগ করা ভুক্তভোগীদের মধ্যে ১২.৫০ শতাংশ  বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি। অভিযোগ করেও কোনো ধরনের সুফল পায়নি বলে জানিয়েছে ৮৭.৫০ শতাংশ ভুক্তভোগী।

প্রযুক্তি এগিয়েছে। দেশে-বিদেশে নানা রকম যোগাযোগ হচ্ছে। বহু তরুণ-তরুণীর আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে তারা বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে। ই-কমার্সের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। মনে রাখতে হবে, তথ্যপ্রযুক্তি যত এগোবেএর অপব্যবহারও ততই বাড়বে। তাই তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা সম্প্রসারণের পাশাপাশি সাইবার অপরাধ দমনে আমাদের আরো বেশি সক্রিয় হতে হবে।

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী সাইবার স্কোয়াড গড়ে তুলতে হবে। তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা যেহেতু গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে যাচ্ছে, তাই সারা দেশের থানা পর্যায়ে প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধ দমনের সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে। একই সঙ্গে  বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোরও উদ্যোগ নিতে হবে।

সাবস্ক্রাইব
Notify of
guest
0 মন্তব্য
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন