কোন প্রক্রিয়ায় এগুলো মীমাংসা করা হবে, তারও কোনো নির্দেশনা নেই। নতুন সফটওয়্যারেও এগুলো মীমাংসা করার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।প্রতিদিন গড়ে ৫০ থেকে ৭০ জন পুরনো নামজারি পরচা ও খাজনা পরিশোধের আবেদনকারী অফিসে আসছেন, কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকে বিকল্প কোনো পদ্ধতি বা কোন প্রক্রিয়ায় মীমাংসা করা হবে, তার কোনো নির্দেশনা নেই।
একই চিত্র পুরো বাংলাদেশের সব সহকারী ভূমি অফিসে। সব অফিসেই নামজারি পরচা ও খাজনা পরিশোধ বন্ধ থাকায় নতুন ভূমি রেজিস্ট্রেশন বন্ধ রয়েছে। অর্থাৎ সারা দেশে জমি কেনাবেচা প্রায় স্থবির।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ কালের কণ্ঠকে বলেছেন, ‘আগে ভূমিকর, খাজনা, খতিয়ান ও অন্যান্য ভূমিসেবার জন্য পাঁচ ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হতো।
এখন একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভূমিসংক্রান্ত সব সেবা দেওয়া হবে। পাঁচটি সফটওয়্যার একীভূত হওয়ায় সার্ভার জ্যাম হয়ে গিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। এখনো কিছু সমস্যা হচ্ছে। এর জন্য এক্সপার্ট টিম রয়েছে, যারা সমস্যাগুলো সমাধান করছে।’
আগে ভূমি অফিসের দুর্নীতি, মানুষের দুর্ভোগ নিয়ে সমালোচনার অন্ত ছিল না। হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহ, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর, অনলাইন ডাটাবেইসসহ ভূমিসেবার সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ ভূমি অফিসের আমূল বদলে দিয়েছে। অতি দ্রুত ভূমি অফিসের সব সমস্যার সমাধান হবে—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।