English

15 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

দ্রুত ফেরত দেওয়া হোক: মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অর্থ

- Advertisements -
গত ১ জুন থেকে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ থেকে কর্মী প্রেরণ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে অর্থ পরিশোধ করেও মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি ১৭ হাজার কর্মী। তখন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছিল ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে তাঁদের সব অর্থ ফেরত দিতে হবে, তা না হলে এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এরই মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তীব্র হয়ে ওঠে।
অন্য অনেক মন্ত্রণালয়ের মতো এই মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও স্থবির হয়ে পড়ে। ফলে মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চাপা পড়ে যায়। অথচ অনেক কর্মীই ধারদেনা করে এজেন্সিগুলোকে টাকা দিয়েছিলেন। এখন সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় তাঁদের পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
গণমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে। জানা যায়, সরকার মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করলেও কর্মীদের জনপ্রতি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়েছে। কিছু অর্থ রসিদ বা কাগজপত্রের মাধ্যমে এবং কিছু অর্থ রসিদ ছাড়াই নেওয়া হয়। এজেন্ট, সাব-এজেন্টরাও অর্থ নিয়েছে।
১৮ জুলাইয়ের মধ্যে কিছু কর্মীকে সরকার নির্ধারিত ৭৮ হাজার টাকা করে ফেরত দেওয়া হলেও পুরো টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে না। আর এখন পুরনো এজেন্সি, এজেন্ট, সাব-এজেন্টদেরও অনেকের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। বর্তমানে কর্মীদের ক্ষতিপূরণ পরিশোধের দায় এড়াতে চাইছে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর সংগঠন বায়রা। তারা বলছে, মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে যারা এই অর্থ নিয়েছে, সেসব রিক্রুটিং এজেন্সিকেই এই ক্ষতিপূরণের দায় নিতে হবে।
অথচ জানা যায়, সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী গত ১ জুলাই বায়রার সঙ্গে বৈঠক করে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে কর্মীদের অর্থ ফেরত দেবে বায়রা। ১৩ জুলাই মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, বায়রা ৭০ শতাংশ অর্থ পরিশোধও করেছে। এখন বায়রা সেই দায় এড়াতে চায় কিভাবে?
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল গত ২৮ আগস্ট মালয়েশিয়ার অনুমোদিত রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক ও বায়রা নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন।

 

বৈঠকের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো না হলেও মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে কর্মীরা মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তাঁদের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দেওয়া কর্মীদের সবার টাকা দ্রুত সময়ের মধ্যে ফেরত দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আর কর্মীরা যে রিক্রুটিং এজেন্সির কাছে পাসপোর্ট ও টাকা জমা দিয়েছেন, সেই প্রতিষ্ঠানকেই অর্থ ফেরত দিতে হবে।

আমরা জানি, বিদেশে পাঠানোর জন্য এসব তরুণের পরিবারকে কতটা কষ্ট করতে হয়। জমিজিরাত বিক্রি করতে হয়। ধারদেনা করতে হয়। আমরা আশা করি, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের অর্থ দ্রুততম সময়ে ফেরত দেওয়া হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন