আবার বাজারে কাগজের সংকট রয়েছে। ফলে এর চেয়ে গতি বাড়ানোর সুযোগ আমাদের ছিল না।’ সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, এনসিটিবি সবচেয়ে বেশি অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে ছাপার কাগজ নিয়ে। চাহিদামতো ৪০ কোটি বই ছাপাতে কত হাজার টন কাগজ প্রয়োজন এবং দেশে কাগজের এই সক্ষমতা আছে কি না সেসব তারা বিবেচনায় নেয়নি। ফলে ছাপাখানাগুলো একসঙ্গে কাজ শুরু করতে গেলে কাগজের সংকট দেখা দেয়। আবার বই পরিমার্জন ও দরপত্র প্রক্রিয়ায়ও বেশি সময় নিয়েছে এনসিটিবি।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক শিক্ষাবর্ষে সাধারণত ক্লাস-পরীক্ষা চলে ১৮৫ দিন। মার্চের প্রথমেই শুরু হবে রোজা। বই হাতে পেতে এবং রোজা ও ঈদের ছুটি কাটিয়ে ক্লাস শুরু হতে এপ্রিলের মাঝামাঝি চলে যাবে। আবার নভেম্বরে অনেক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। শিক্ষকরা মনে করছেন, এই সময়ে সিলেবাস সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে যাবে। শিক্ষায় বড় ধরনের ঘাটতি থাকবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হোক।