English

21 C
Dhaka
সোমবার, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫
- Advertisement -

দ্রুত পাঠ্যবই সরবরাহ করুন: বড় ক্ষতির মুখে স্কুল শিক্ষার্থীরা

- Advertisements -
দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে বছরের প্রথম দিন ‘বই উৎসব’ করা হয়েছে। এদিন শিশুরা আনন্দ-উৎসবে মেতে উঠত। নতুন বইয়ের গন্ধে মাতোয়ারা হতো। এ বছর বই উৎসবের সেই আমেজ ধরে রাখা সম্ভব হয়নি।
নানা কারণে পাঠ্যবইয়ের মুদ্রণ বিলম্বিত হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বছরের প্রথম মাস জানুয়ারি শেষ হওয়ার পরও সব শিক্ষার্থী সব বই পায়নি। ৪০ কোটি বই ছাপা হওয়ার কথা থাকলেও জানুয়ারির শেষ দিন পর্যন্ত ছাপা হয়েছে প্রায় ২১ কোটি বই। অর্থাৎ ১৯ কোটি বা প্রায় অর্ধেক বইয়ের মুদ্রণকাজই এখনো বাকি রয়েছে।
মুদ্রণকাজে নিয়োজিত প্রেস মালিকদের কেউ কেউ মনে করেন, সব বইয়ের কাজ শেষ হতে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। স্কুলগুলোতে বইয়ের অভাবে শিক্ষণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এ বছর শিক্ষার্থীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখোমুখি হবে।
জানা যায়, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বই পেয়েছে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা। চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৫০ শতাংশের মতো বই ছাপা হয়েছে। সবচেয়ে পিছিয়ে আছে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত বইয়ের মুদ্রণকাজ। এসব ক্লাসের বই ছাপা হয়েছে গড়ে ৩৪ শতাংশের মতো, অর্থাৎ এখনো বাকি রয়েছে ৬৬ শতাংশ মুদ্রণকাজ।বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রক ও বিপণন সমিতির সভাপতি জানান, ‘আমরা গত বছরের শেষ দিকে একসঙ্গে সব ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েছি।

আবার বাজারে কাগজের সংকট রয়েছে। ফলে এর চেয়ে গতি বাড়ানোর সুযোগ আমাদের ছিল না।’ সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছেন, এনসিটিবি সবচেয়ে বেশি অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে ছাপার কাগজ নিয়ে। চাহিদামতো ৪০ কোটি বই ছাপাতে কত হাজার টন কাগজ প্রয়োজন এবং দেশে কাগজের এই সক্ষমতা আছে কি না সেসব তারা বিবেচনায় নেয়নি। ফলে ছাপাখানাগুলো একসঙ্গে কাজ শুরু করতে গেলে কাগজের সংকট দেখা দেয়। আবার বই পরিমার্জন ও দরপত্র প্রক্রিয়ায়ও বেশি সময় নিয়েছে এনসিটিবি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এক শিক্ষাবর্ষে সাধারণত ক্লাস-পরীক্ষা চলে ১৮৫ দিন। মার্চের প্রথমেই শুরু হবে রোজা। বই হাতে পেতে এবং রোজা ও ঈদের ছুটি কাটিয়ে ক্লাস শুরু হতে এপ্রিলের মাঝামাঝি চলে যাবে। আবার নভেম্বরে অনেক স্কুলে বার্ষিক পরীক্ষা হবে। শিক্ষকরা মনে করছেন, এই সময়ে সিলেবাস সম্পন্ন করা কঠিন হয়ে যাবে। শিক্ষায় বড় ধরনের ঘাটতি থাকবে, যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা চাই, যত দ্রুত সম্ভব শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হোক।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

আজকের রাশিফল

ক্রিকেটারের পুত্র মডেল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন