নগরীর বায়ুদূষণ রোধে অবিলম্বে জরুরি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের দাবিতে শুক্রবার জাতীয় সংসদ ভবনসহ রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে পরিবেশবাদী একাধিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। সংগঠনগুলো দাবি করেছে, বায়ুদূষণ রোধ করার বিষয়টিকে এক নম্বর সমস্যা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে সরকারকে।
এসব কর্মসূচিতে ব্যবহার করা প্ল্যাকার্ডের ভাষা ছিল এ রকম : ‘বাসযোগ্য ঢাকা চাই’, ‘বায়ুদূষণকারী প্রকল্প নয়’, ‘পরিবেশবান্ধব গণপরিবহন চাই’, ‘ধোঁয়ার বদলে সবুজ চাই’, ‘নির্মল বায়ু আইন পাস করো’, ‘আমাদের শ্বাস নিতে দাও’, ‘নির্মাণকাজে দূষণ নিয়ন্ত্রণ করো’, ‘পরিষ্কার বাতাস ও সুস্থ জীবন চাই’ ইত্যাদি।
গণমাধ্যমের তথ্য মতে, ঢাকার বায়ুমানের অবনতি থামছে না। গত বছরের নভেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের নভেম্বরে বায়ুর মান ১০ শতাংশ পর্যন্ত খারাপ হয়েছে।আর ডিসেম্বরে চলতি বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দূষিত ছিল ঢাকার বাতাস।
ঢাকার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) দেশের অন্য বিভাগীয় শহরগুলোতেও দূষণ পরিস্থিতি নাজুক অবস্থায় ছিল।
এরই মধ্যে ঢাকার দূষিত বায়ু থেকে বাঁচতে বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়।
বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক যৌথ প্রতিবেদনে বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এগুলো হলো—ইটভাটার ধোঁয়া ও ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজ থেকে সৃষ্ট দূষণ। আমরা মনে করি, অতি সত্বর এই তিনটি কারণ দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। পরিবেশসংক্রান্ত আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করতে হবে।