ফলে চলতি বর্ষায় ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েকটি গ্রামের কয়েক শ বাড়ি, কয়েকটি রাস্তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বেশ কিছু স্থাপনা। এদিকে আবারও প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি এবং বরাদ্দ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের এমন ধীরগতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ ব্যাপারে বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের দেওয়া ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করেন কমিটির সদস্যরা।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বলা হয়, যথাসময়ে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত না হওয়ায় সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে বিলম্বের কারণ জানতে চাওয়া হয়।পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) প্রতিবেদনেও এমন বিলম্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। কিন্তু ক্ষোভ আর প্রশ্ন তুলেই কি বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রচলিত ধীরগতির পরিবর্তন করা যাবে? প্রকল্প বাস্তবায়নের এই ধীরগতি নতুন নয়। আগেও অনেকে এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে।পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান নিজেও এ নিয়ে অনেকবার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। কিন্তু সেসবের ফলে অবস্থার যে বিশেষ কোনো পরিবর্তন হয়নি তা তো সুরমা নদীর ভাঙন রোধে গৃহীত প্রকল্প থেকেই জানা যায়।অভিযোগ আছে, প্রকল্প পরিচালকরা (পিডি) দামি গাড়িসহ প্রচুর সুযোগ-সুবিধা নিয়ে ঢাকায় বা অন্য কোনো বড় শহরে রাজার হালে জীবন কাটান, প্রমোদ ভ্রমণে যান; কিন্তু প্রকল্প এলাকায় যান না। বিলাসী জীবন আর সুযোগ-সুবিধা অক্ষুণ্ন রাখতেই প্রকল্পের মেয়াদ টেনে টেনে বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।আমরা মনে করি, উন্নয়নের গতি অক্ষুণ্ন রাখার স্বার্থে নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের ওপর জোর দিতে হবে। সুরমা নদীর ভাঙন রোধে গৃহীত প্রকল্পটি স্থানীয় জনগণের অস্তিত্বের সঙ্গে সম্পর্কিত। এর বাস্তবায়নকাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।