মেয়েটি জ্ঞান হারালে তার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। পরে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমরা কি ভুলে গেছি ফেনীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির কথা! তাঁরই মাদরাসার অধ্যক্ষের লালসার শিকার হয়েছিলেন তিনি।
আগুনে পুড়িয়ে মারা হয়েছিল তাঁকে। গত মার্চে ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় আরেক মাদরাসাছাত্রীকে একইভাবে জীবন দিতে হয়েছে। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। সমাজ ও রাষ্ট্র কন্যাশিশুদের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।
বগুড়ার মাদরাসাছাত্রী হত্যার ঘটনা এবং তার মৃত্যুর খবর বিবেকবান প্রত্যেক মানুষের অন্তরকে কাঁদাবে। কিন্তু তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিতদের অনুভূতিকে নাড়া দেবে কি? দুষ্টের দমন ও শিষ্টের পালনে যারা অঙ্গীকারবদ্ধ, তাদের কর্তব্যবোধ জাগ্রত হবে কি?
আইন ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এ ধরনের অপরাধ নির্মূলের জন্য দ্রুততম সময়ে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়াটা জরুরি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও শিবগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুর রউফ জানান, প্রধান আসামি সাইফুল ইসলাম এরই মধ্যে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আমরা আশা করি, দ্রুততম সময়ে এই জঘন্য ঘটনার বিচার সম্পন্ন করে অপরাধীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে।