কোনো হত্যাকাণ্ডেই দায়মুক্তি দেওয়ার সুযোগ নেই। প্রতিটি হত্যাকাণ্ডেরই তদন্ত হতে হবে। দুই দিনের বাংলাদেশ সফরের শেষ দিন গত বুধবার ঢাকার একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই ও আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা ঘটেছিল, জাতিসংঘের তথ্যানুসন্ধান মিশন সেসব তদন্ত করছে।
দায়মুক্তি আছে এমন কোনো হত্যাকাণ্ড আমরা হতে দিতে পারি না।’ গত আগস্টে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যাওয়া ‘মব জাস্টিস’ প্রসঙ্গে ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আরেকজন মানুষকে আঘাত বা সহিংসতা যে-ই করুক না কেন, অবশ্যই তার তদন্ত হতে হবে। কোনো ধরনের মব জাস্টিস গ্রহণযোগ্য নয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হওয়া দরকার। প্রয়োজনীয় সংস্কার দরকার। তা না হলে সহিংসতা হবে। বিশ্বের অনেক জায়গায় আমরা দেখি।’ বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন প্রসঙ্গে ভলকার তুর্ক বলেন, ‘আইন ও আদালত প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান বিবেচনায় এখানে ঘাটতি আছে। এগুলোর সুরাহা হওয়া প্রয়োজন।’
আমরা চাই, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিশ্বমানের হোক। মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিটি ঘটনা বিচারের আওতায় আসুক এবং দোষীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক।