সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে দেশে নতুন আইন হয়েছে। মহাসড়কে শ্লথগতির যানবাহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডিভাইডার বসানো হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
গত বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব রেলস্টেশনের কাছে বাসচাপায় নিহত হয়েছে ছয়জন। আহত ১৫ জন। ঢাকায় বিমানবন্দরে বড় ভাইকে বিদায় দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। শুক্রবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও ডাম্প ট্রাকের সংঘর্ষে একজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। একই দিন গোপালগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় এক পুলিশ সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো ১০ জন।
সড়ক দুর্ঘটনা ঘটার কারণ অনেক। ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা, শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনগণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএর সক্ষমতার ঘাটতি, গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি ইত্যাদি কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে বলে মনে করেন সড়ক নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। অত্যধিক ক্লান্তি এবং গাড়ি চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে যাওয়ার কারণেও অনেক দুর্ঘটনা ঘটে।
দেশের সড়ক-মহাসড়কে এমন অনেক দুর্ঘটনা ঘটে, যেগুলোকে দুর্ঘটনা বলা যায় না। এমন একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে গতকাল শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে। বেপরোয়া গতিতে চলা একটি বাস উল্টে অন্তত ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছে।
আমরা কোনো মতেই এমন অনিরাপদ সড়ক চাই না। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জনের অন্যতম শর্ত সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনা। যেকোনো মূল্যে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।