আজ থেকে শুরু পবিত্র রমজান মাস। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা রোজা রাখবেন। অন্যান্য মুসলিমপ্রধান দেশে এ সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বিশেষ করে খাদ্যপণ্যের দাম কমে। আমাদের এখানে দেখা যায় তার উল্টোটা।
তবে বরাবরের মতো এবারও রোজা ঘিরে বাড়তি মাংসের বাজার। এখনো কাটেনি ভোজ্যতেলের সংকট।
প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি বেগুন ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা এক সপ্তাহ আগেও ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতো। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহেও বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়।
সোনালি মুরগির কেজি ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা। গরুর মাংস কেজিতে ৩০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও উৎপদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, আগের বছরগুলোর তুলনায় তাঁরা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বাজারে তেলের সরবরাহ বাড়িয়েছেন।
জানুয়ারি মাসে বোতলজাত সয়াবিন তেল সরবরাহের প্রবৃদ্ধি ছিল প্রায় ২৫ শতাংশ। অথচ হাতে গোনা দু-একটি দোকানে বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও সরকার নির্ধারিত দরের চেয়ে বেশি দাম রাখা হচ্ছে। বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেলও।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিমত, বাজার মনিটরিংয়ে আরো বেশি জোর দিতে হবে। অসাধু ব্যবসায়ীরা যাতে ইচ্ছামতো দাম নিতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি ট্রাক সেল, ওপেন মার্কেট সেল, ফ্যামিলি কার্ড ও অন্যান্য মাধ্যমে বাজারে সরকারের হস্তক্ষেপ আরো বাড়াতে হবে।