করোনা সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের কারণে জীবন-জীবিকা নিয়ে অসহায় পরিস্থিতিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। গত দেড় বছরে একের পর এক বিধিনিষেধ ও এর কারণে দরিদ্র মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। অনেকের আয়ের পথও বন্ধ। ফলে নানা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী। এ পরিস্থিতিতে দেশে সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় ভিজিএফ-ভিজিডি, ওএমএসসহ হতদরিদ্র মানুষের জন্য ত্রাণ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এর মধ্যে তৃণমূল পর্যায়ে কিছু অনিয়মের ঘটনাও আমাদের নজরে এসেছে।
এক প্রতিবেদনে জানা যাচ্ছে, ঈদ উপলক্ষে সুবিধাভোগী মানুষের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ না করে গুদামে মজুত রাখার অভিযোগ ওঠে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদের গুদাম থেকে এক টন চাল জব্দ করেন ইউএনও। ইটাকুমারী ইউনিয়নে হতদরিদ্র পরিবারের জন্য প্রায় ৪ হাজার ৬০০ ব্যক্তির জন্য ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঈদের আগে এসব চাল বিতরণের কথা ছিল। স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতি ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ৮ কেজি করে বিতরণ করেন। বাকি চাল কালোবাজারে বিক্রি করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গুদামে তা মজুত করে রাখেন। যদিও ইউপি চেয়ারম্যান শতভাগ চাল বিতরণ দেখান।
ভিজিএফের চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে জামালপুরের কেন্দুয়া ইউনিয়নেও। সেখানে চাল কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এক ব্যক্তি মারধরের শিকারও হয়েছেন। গত রোববার বিকেলে চাল নিতে গিয়ে ওই ব্যক্তি দেখেন, প্রত্যেককে ১০ কেজির বদলে ৬ থেকে ৭ কেজি করে চাল দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে তাঁকে চড়–থাপ্পড় মারেন ইউপি চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন ইউএনও।
দরিদ্র মানুষের জন্য সহায়তা নিয়ে অনিয়মে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক।