অন্যদিকে শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পে শ্রমিক অসন্তোষের পরও গত মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ১৬.২৭ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের কঠোর তদারকির কারণে অযৌক্তিক আমদানি বন্ধ হয়েছে। রপ্তানি আয় এবং রেমিট্যান্সের ডলার দিয়েই আমদানি দায় পরিশোধ সম্ভব হচ্ছে।
সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিতে জুলাই-আগস্টের ধারাবাহিকতায় সেপ্টেম্বর মাসেও সংকোচনের ধারা অব্যাহত ছিল। কিন্তু আগস্ট মাসের চেয়ে সেপ্টেম্বর মাসে পিএমআইয়ের মান ৬.২ পয়েন্ট বেড়েছে। অর্থাৎ আগস্ট মাসের তুলনায় অর্থনীতি ধীরে ধীরে উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।
ওদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার সর্বশেষ চিত্র তুলে ধরে এইচএসবিসি ব্যাংক ‘নেভিগেটিং বাংলাদেশ’স ক্রসরোডস’ শিরোনামে একটি ওয়েবিনার করেছে। ওয়েবিনারের প্রধান বক্তা ব্যাংকের এশিয়া অঞ্চলের প্রধান অর্থনীতিবিদ ও গ্লোবাল রিসার্চের সহপ্রধান ফ্রেডেরিক নিউম্যান বলেছেন, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ থাকার পরও খাত দুটি ইতিবাচক পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। ওয়েবিনারে ফ্রেডেরিক নিউম্যান বাংলাদেশ নিয়ে তৈরি করা এইচএসবিসি গ্লোবাল রিসার্চের সর্বশেষ প্রতিবেদন ‘রিগেইনিং ব্যালান্স—বাংলাদেশ লুকস টু রিকভারি’র ওপর ভিত্তি করে নিউম্যান বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন। এতে দেখা যাচ্ছে, বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ থাকার পরও রপ্তানি ও রেমিট্যান্স খাত ইতিবাচক পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা বেড়ে এ খাতের ব্যবসাও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিদেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এতে রেমিট্যান্স বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রেমিট্যান্স বাড়লে প্রবাসী পরিবারগুলোর ব্যয়ের হার বাড়বে। একই সঙ্গে বৃহত্তর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স ও পলিসি এক্সচেঞ্জ কৃষি, উৎপাদন, নির্মাণ ও সেবা—অর্থনীতির মূল চারটি খাতের ভিত্তিতে যে পিএমআই সূচক প্রণয়ন করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেপ্টেম্বর মাসে কেবল উৎপাদন খাত সম্প্রসারণের ধারায় ফিরেছে। বাকি তিনটি খাত এখনো সংকোচনের ধারায় আছে। আশার কথা হলো, সব খাতেই ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। তার পরও কিছু চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।
আমাদের প্রত্যাশা, সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার দক্ষতার পরিচয় দেবে।