তালিকার ৯ নম্বর ক্রমিকে আছে দীঘলডাঙ্গি গ্রামের ভবেশের স্ত্রী পারুল রানী। তিনিও কোনো সহযোগিতা পাচ্ছেন না। সুবর্ণখুলি গ্রামের প্রতিবন্ধী দম্পতি মৌসুমি ও ইউনুস থাকেন দরিদ্র শ্বশুরের আশ্রয়ে। তাঁদের নামও তালিকায় আছে, কিন্তু তাঁরাও কোনো কার্ড বা সহযোগিতা পান না।
অন্যদিকে তালিকার ৭ নম্বরে আছেন মুক্তা রানী রায়। তাঁর অবস্থা সচ্ছল। তিনি নিজে সহযোগিতা না নিলেও অন্য কেউ সেই সহযোগিতা নিচ্ছে। অর্থাৎ তালিকায় নাম থাকা অসচ্ছলরা চাল পাচ্ছেন না। আবার তালিকায় কিছু সচ্ছল ব্যক্তির নাম ঢুকিয়ে তাঁদের চাল আত্মসাৎ করা হচ্ছে।
শুধু নীলফামারী নয়, সারা দেশেই চলছে এ ধরনের অনিয়ম-দুর্নীতি। জনপ্রতিনিধি পরিচয়ে কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ে চলে এই অনিয়ম।
প্রশাসনকে এসব অপরাধের বিষয়ে আরো তৎপর হতে হবে। নীলফামারীর সংগলশী ইউনিয়নে ভিডাব্লিউবি কর্মসূচি নিয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা দ্রুত তদন্ত করতে হবে। গরিব মানুষের সহযোগিতা আত্মসাতের সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।