English

28 C
Dhaka
মঙ্গলবার, এপ্রিল ১, ২০২৫
- Advertisement -

তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা নিন: মাটি মেশানো কয়লা খালাসের অপচেষ্টা

- Advertisements -
Advertisements

গরমের দিন এসে গেছে। তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। সরকার সেই চাহিদা পূরণ করবে কিভাবে, যদি প্রতিনিয়ত এমন ভয়ংকর জালিয়াতির ঘটনা ঘটতেই থাকে।

প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, সম্প্রতি কক্সবাজারের মাতারবাড়ী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইন্দোনেশিয়া থেকে দুটি জাহাজে বিপুল পরিমাণ কয়লা আমদানি করা হয়েছে। দুটি জাহাজেই কয়লার সঙ্গে মাটি মেশানো রয়েছে।
কয়লা আনলোড করার সময় কয়লার সঙ্গে মাটি মেশানো থাকার বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে আনলোডে নিয়োজিত শ্রমিকদের। পরে একটি জাহাজের কয়লা আনলোডিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।জানা যায়, কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত শ্রমিক লাগিয়ে অপর জাহাজের সব কয়লা আনলোড করে ফেলেছে। এখন আটকে দেওয়া জাহাজের কয়লা আনলোডের ব্যাপারেও জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয় উন্নতমানের কয়লা। এর স্থলে মাটি মেশানো কয়লা দেওয়া হলে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে।
দেশে বিদ্যুতের সংকট তৈরি হবে। মানুষের ভোগান্তি বাড়বে। সরকারও বিপাকে পড়বে। তার পরও এ ধরনের জালিয়াতির ঘটনা ঘটে কী করে?
জানা যায়, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে কয়লা সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান মেঘনা গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বন্দরে অবস্থান করছেন। তাঁরা ওরিয়েন্ট অর্কিড নামের জাহাজে থাকা মাটি মেশানো আরো ৪০ হাজার ৬৫০ টন কয়লা তদবির করে আনলোড করার কৌশল আঁটছেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

গত ১৭ মার্চ ৬৩ হাজার টন মাটি মেশানো কয়লার চালান নিয়ে বন্দরের জেটিতে ভেড়ে ওরিয়েন্ট অর্কিড জাহাজ। বাকি কয়লা আগেই আনলোড করা হয়ে গেছে।

মেঘনা গ্রুপের এ ধরনের কর্মকাণ্ড নতুন নয়। অতীতেও তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অনেক অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, গত ২০ বছরে গ্রুপটির কর্ণধার অন্তত এক লাখ কোটি টাকা পাচার করেছেন, যার মধ্যে অন্তত ৮০ হাজার কোটি টাকাই আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের মাধ্যমে। আর হাজার হাজার কোটি টাকার শুল্ক-কর ও ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগ তো রয়েছেই। টাকা পাচারের বিষয়টি উচ্চতর তদন্তের জন্য একটি অভিযোগ জমা পড়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। একটি গোয়েন্দা সংস্থা, দুদক ও এনবিআরের তৈরি নথিপত্র থেকেও এসব তথ্য জানা গেছে।

বিপুল ব্যয়ে নির্মিত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জাতীয় সম্পদ। মাটি মেশানো ভেজাল কয়লা ব্যবহার করে এর ক্ষতি করা কোনোমতেই কাম্য নয়। কয়লা সরবরাহে জালিয়াতির যে অভিযোগ উঠেছে, তার দ্রুত ও সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। জনগণের অর্থে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটির স্থায়িত্বের প্রয়োজনে ভেজাল কয়লার ব্যবহার বন্ধ রাখা জরুরি। আর এর নেপথ্যে যারা জড়িত, তাদেরও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন