এসব কারণে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক গ্রেডিংয়ে কেবলই পিছিয়ে যাচ্ছে। প্রদত্ত ডিগ্রির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিও কমে যাচ্ছে। এ অবস্থায় একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পূর্ণাঙ্গ গবেষণা ও ডিগ্রি অর্জনের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গবেষক, কর্মকর্তাদের করা যেকোনো গবেষণাকাজ ও স্কলারলি প্রকাশনা এর আওতায় পড়বে।
পাশাপাশি আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালগুলোতে প্রকাশিত হওয়া গবেষণাকাজসহ কাজে যোগদানের জন্য অথবা পদোন্নতির জন্য জমা দেওয়া গবেষণাকাজও এর আওতায় পড়বে। শিক্ষকদের মধ্যে নিয়মিত, খণ্ডকালীন, চুক্তিভিত্তিকসহ পাঠদানে সংশ্লিষ্টরাও নীতিমালার আওতায় আসবেন। চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পাওয়া গেলে শিক্ষার্থীর অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনায় জরিমানা সাপেক্ষে পাণ্ডুলিপি সংশোধনের সুযোগ দেওয়া হবে। সংশোধনে ব্যর্থ হলে ডিগ্রি বাতিল করা হবে।
রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে। অভিযুক্ত যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা কিংবা গবেষক হন, তাহলে অপরাপর শাস্তির পাশাপাশি ওই ডিগ্রি দিয়ে নিয়োগ, পদোন্নতির মাধ্যমে গৃহীত আর্থিক সুবিধাও ফেরত দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে ডিগ্রি প্রদানকারী সুপারভাইজারও পরবর্তী তিন বছর কোনো গবেষণাকাজে সুপারভাইজার হতে পারবেন না।
গবেষণাকর্মে চৌর্যবৃত্তির এই সমস্যাটি শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বরং সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়েরই সমস্যা। এ ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করে চৌর্যবৃত্তি প্রতিরোধের যে উদ্যোগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়েছে, আমরা তাকে স্বাগত জানাই। আমরা মনে করি, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েরও অনুরূপ উদ্যোগ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।