English

21 C
Dhaka
শনিবার, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
- Advertisement -

ঢাকার বাইরে স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা বাড়ান: মহামারি মোকাবিলা

- Advertisements -

করোনা মহামারি মোকাবিলা করতে গিয়ে হাসপাতালগুলো যখন অক্সিজেন-সংকটে ভুগছে, তখন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) উদ্ভাবিত ডিভাইস (যন্ত্র) আশার আলো দেখাতে পারে।

বাংলাদেশের হাসপাতালে সাধারণ বেডে রোগীকে সর্বোচ্চ ১৫ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া যায়, এর বেশি অক্সিজেনের ক্ষেত্রে রোগীর হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা লাগে অথবা তাঁকে আইসিইউতে নিতে হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১ হাজার ৭১৪ হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলার ১ হাজার ৫৯টিই রয়েছে ঢাকা বিভাগে। ৫৬টি হাসপাতালে আছে ৫টির কম এবং ১৫টি হাসপাতালে এর সুবিধাই নেই। অতএব অবিলম্বে ঢাকার বাইরে, বিশেষ করে অধিক আক্রান্ত জেলার হাসপাতালগুলোর সক্ষমতা বাড়াতেই হবে।

অক্সিজেন সরবরাহে বুয়েটের ডিভাইসটি ব্যবহার করা হলে প্রতি মিনিটে ৬০ লিটার পর্যন্ত অক্সিজেন দেওয়া যায়। অক্সিজেট নামের এই ডিভাইস তৈরির পর প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালও হয়েছে। যদিও ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদন না পাওয়ায় সেটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

আইনানুযায়ী চিকিৎসাসংক্রান্ত কোনো যন্ত্রপাতি ও উপাদান কারখানায় তৈরি করার পর বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন অনুমতি দিয়ে থাকে। কিন্তু বুয়েটের ডিভাইসটি কোনো কারখানায় তৈরি হয়নি; হয়েছে বুয়েটের গবেষণাগারে। ডিভাইসটি যদি মানসম্মত হয় এবং কোনো ঝুঁকি না থাকে, তাহলে কারখানায় তৈরি নয়—এ দোহাই দিয়ে অনুমোদন আটকে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই। বিষয়টি উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। একজন আইনজীবী বুয়েটের ডিভাইসটি সম্পর্কে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মাননীয় বিচারক প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বলেছেন। সম্প্রতি অক্সিজেন-সংকটের কারণে সাতক্ষীরা ও বগুড়ার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১২ জন রোগী মারা গেছেন।

আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য, ঔষধ প্রশাসনের আইন বা বিধির বাধ্যবাধকতা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু বিশেষ পরিস্থিতি বা মহামারিকালের হিসাব-নিকাশ আলাদা হতে হবে। বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে সময়সাপেক্ষ কিছু কাজ বা সিদ্ধান্ত জরুরি ভিত্তিতে নিতে হবে। কারণ, এর সঙ্গে মানুষের জীবন রক্ষার সম্পর্ক রয়েছে।

তবে করোনা চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে অক্সিজেনের স্বল্পতাই একমাত্র সমস্যা নয়। স্বাস্থ্যসেবা খাতের পরতে পরতে সমস্যা। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে অনেক হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই, প্রয়োজনীয় শয্যা ও যন্ত্রপাতিও নেই। করোনায় আক্রান্ত সব রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন নেই। যাঁদের অবস্থা গুরুতর নয়, অস্থায়ী ক্যাম্প করেও তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া যায়। অর্থাৎ এ মুহূর্তে রোগী ব্যবস্থাপনার বিষয়টি জরুরি। পাইকারি হারে চিকিৎসকদের বদলি না করে স্থানীয়ভাবে বেসরকারি চিকিৎসকদের সহায়তা নিলে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বেশি সুফল পাওয়া যেত।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন