এর আগে গত ১৯ জুন রোহিঙ্গা ক্যাম্কে পাহাড়ধসের ঘটনায় আট রোহিঙ্গাসহ ১০ জন, গত ২০ জুন কক্সবাজার সদর উপজেলার বাদশাঘোনা এলাকায় এক দম্কতি এবং গত ৩ জুলাই উখিয়ার ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্ক এবং বালুখালী এলাকায় দুজনের মৃত্যু হয়।
প্রতি বর্ষায় পাহাড়ধসের এমন অনেক ঘটনা ঘটছে এবং অনেকের মৃত্যু হচ্ছে, কিন্তু সেই মৃত্যু রোধে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগ নেই বললেই চলে।
দেশে পাহাড়ধসের সবচেয়ে বড় দুটি ঘটনা ঘটে ২০০৭ ও ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম মহানগরীতে। ২০০৭ সালে মারা গিয়েছিল ১২৭ জন এবং ২০১৭ সালে চার সেনা কর্মকর্তাসহ ১৬৮ জনের প্রাণহানি হয়েছিল।
৯ মাস ধরে অনুসন্ধানের পর সেই কমিটি বিস্তারিত প্রতিবেদন দিয়েছিল এবং ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বেশ কিছু সুপারিশ করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল পাহাড়ের পাদদেশে খুপরির মতো ঘরবাড়ি না করা। তা ছাড়া পাহাড় না কাটা, পাহাড়ে প্রচুর গাছপালা থাকা, কংক্রিটের দেয়াল ও প্রশস্ত নালা করাসহ আরো অনেক সুপারিশ করা হয়েছিল।
কিন্তু সাত বছরেও সেসব সুপারিশের প্রায় কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। তাই প্রতিবছর বর্ষা এলেই পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতেই থাকে। আর বৃষ্টি শুরু হলেই প্রশাসন মাইকিং করে বাসিন্দাদের সরে যেতে বলে তাদের দায় সারে। প্রশাসনের এমন অবহেলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।
আমরা মনে করি, পাহাড়ধসের ক্ষয়ক্ষতি রোধে স্থায়ী ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাস স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে হবে। যারা এমন জায়গায় খুপরি ঘর করে ভাড়া দেয় তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে। এখনো যারা পাহাড়ের পাদদেশে রয়েছে তাদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।