কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না মাদকের কারবার। রাজধানী ছাড়িয়ে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও পৌঁছে যাচ্ছে ভয়ংকর সব মাদকদ্রব্য। ২০১৯ সালে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া মাদক কারবারিরা ফিরতে শুরু করেছে। নতুন করে যুক্ত হয়েছে মাদক কারবারে। কেউ কেউ স্থানীয়ভাবে রাজনীতির সঙ্গেও সম্পৃক্ত হয়েছে। বিনিয়োগ করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পেছনে। প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা বিভাগে সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারি রয়েছে। তারাই নিত্যনতুন কৌশলে মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। এই সাড়ে তিন হাজার মাদক কারবারির তালিকার মধ্যে কেউ সরাসরি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, কেউ পৃষ্ঠপোষক আবার কেউ অর্থলগ্নিকারী। রাজধানীতে মাদকের কারবারে জড়িতরা অনেক প্রভাবশালী বলে জানা যায়। যে কারণে সিসাবারজাতীয় মাদক সেবনের আড্ডাগুলো বন্ধ রাখা যায় না। পুলিশ, র্যাব ও ডিএনসির বেশ কিছু অভিযানে সিসার সঙ্গে আলাদা মাদকদ্রব্য জব্দ এবং সিসার মোলাসেসের সঙ্গে মাদকদ্রব্য মেশানোর আলামত মিলেছে বলে খবরে প্রকাশ।
সিসাবার থেকেই মাদক কারবার এবং হাউস পার্টিতে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে। হাউস পার্টির পরিকল্পনা করে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালানোর খবর এসেছে গণমাধ্যমে। আবার বেশ কয়েকটি সিসাবারে অভিযান চালিয়ে সিসার সঙ্গে ইয়াবা, গাঁজা, আইস, হেরোইন, মদ ও বিয়ার পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তরুণ-তরুণীদের আসক্ত করে তুলতে সিসায় মাদকদ্রব্য মেশানো হচ্ছে। ইয়াবা, গাঁজা, আইসসহ বিভিন্ন মাদক সেবনের সুযোগও আছে ওই সব সিসা লাউঞ্জে।
সম্প্রতি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া সবাই জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে যে তারা সিসাবারে নিয়মিত যেত। সিসাবার থেকেই মাদকের আড্ডা এবং চক্রে যুক্ত হয়েছে তারা। আবার রাজশাহীতে বর্ষার কয়েক মাসে পদ্মায় পর্যাপ্ত পানি থাকায় ভারত থেকে অনায়াসে মাদকদ্রব্য আনে কারবারিরা। সন্ধ্যার পর মাছ ধরা নৌকায় করে বেশির ভাগ মাদকের চালান বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে। আবার ওপার থেকে পলিথিনে বেঁধে ভারী কিছুর সঙ্গে মাদক পানিতে ডুবিয়ে দিয়ে টেনে আনা হয় এপারে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা বিভাগের মাদক কারবারিদের তালিকা হালনাগাদ করে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।