English

26 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

জনবল সংকট দূর করুন: বরিশাল বিভাগে হাসপাতালের দুরবস্থা

- Advertisements -
এখনো দেশের বেশির ভাগ মানুষের প্রধান ভরসা সরকারি স্বাস্থ্যসেবা বা সরকারি হাসপাতালগুলো। অতি উচ্চমূল্যের বেসরকারি হাসপাতালের সেবা নেওয়ার কথা তারা ভাবতেও পারে না। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের অবস্থা কীএগুলো দিন দিনই যেন আরো পিছিয়ে পড়ছে। চিকিৎসকসহ প্রয়োজনীয় লোকবল নেই।
রোগ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি নেই। অতি দরিদ্র রোগীদের বিনা মূল্যে প্রদানের মতো ওষুধেরও অভাব রয়েছে। তাহলে দেশের বেশির ভাগ মানুষ কী করবে? গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, বরিশাল  বিভাগের ছয়টি সদর হাসপাতালের পাশাপাশি ৪২টি উপজেলারমধ্যে যে ৪০টিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছেসেগুলোতে চিকিৎসকের অভাব প্রকট। এমনিতেই হাসপাতালের জনবল কাঠামোতে পদের সংখ্যা অনেক কম, তার ওপর জনবল কাঠামোতে থাকা পদের বিপরীতে চিকিৎসক আছেন মাত্র ৫৪ শতাংশ।

অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ পদই খালি রয়েছে। তাহলে সেবা কার্যক্রম চলে কিভাবে?

জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে বরগুনা সদর হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনবল কাঠামো রয়ে গেছে ১০০ শয্যারই, অর্থাৎ হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে আগের মতোই ৫৫টি। কিন্তু বাস্তবে চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক।

অথচ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় দুই শ রোগী ভর্তি থাকে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা চার শর কাছাকাছি। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবস্থাও একই রকম। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির জনবল কাঠামো ১০০ শয্যার অনুরূপ। এখানে চিকিৎসকের ৫৮টি পদ রয়েছে, কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন।
জেলা পর্যায়ের অন্য হাসপাতালগুলোর অবস্থাও প্রায় একই রকম। তার চেয়েও খারাপ অবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর। পটুয়াখালীর ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি কুয়াকাটা ও কাঁঠালতলীর ২০ শয্যার দুটি হাসপাতালের জন্য অনুমোদিত চিকিৎসকের পদ আছে ২০১টি। তার বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৯৮ জন। অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম। কাছাকাছি অবস্থা বিভাগের অন্যান্য উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সেরও।জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কীটপতঙ্গ  পানিবাহিত রোগব্যাধি দ্রুত বাড়ছে।  ছাড়া  জেলাগুলোতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। যাতায়াতের সমস্যাও প্রকট। দূরদূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সক্ষমতাও নেই অধিকাংশের। বিশেষ করে নারীদের চিকিৎসার সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোই বেশির ভাগ মানুষের প্রধান বা একমাত্র ভরসা। এমন প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় জেলাগুলোর হাসপাতালে  ধরনের চিকিৎসক সংকট কোনোভাবেই কাম্য নয়।

আমরা চাই উপকূলীয় জেলাগুলোতে থাকা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবল সংকট দ্রুততম সময়ে দূর করা হোক। পাশাপাশি হাসপাতালগুলো যাতে পরিপূর্ণভাবে রোগীদের সেবা দিতে পারেসেভাবে আধুনিকায়ন করা হোক।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন