অর্থাৎ ৪৬ শতাংশ পদই খালি রয়েছে। তাহলে সেবা কার্যক্রম চলে কিভাবে?
জানা যায়, প্রায় ১৫ বছর আগে বরগুনা সদর হাসপাতাল ১০০ থেকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। কিন্তু জনবল কাঠামো রয়ে গেছে ১০০ শয্যারই, অর্থাৎ হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে আগের মতোই ৫৫টি। কিন্তু বাস্তবে চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র ১৫ জন চিকিৎসক।
অথচ হাসপাতালটিতে প্রতিদিন প্রায় দুই শ রোগী ভর্তি থাকে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা চার শর কাছাকাছি। পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অবস্থাও একই রকম। ২৫০ শয্যার হাসপাতালটির জনবল কাঠামো ১০০ শয্যার অনুরূপ। এখানে চিকিৎসকের ৫৮টি পদ রয়েছে, কিন্তু কর্মরত আছেন মাত্র ২০ জন।জেলা পর্যায়ের অন্য হাসপাতালগুলোর অবস্থাও প্রায় একই রকম। তার চেয়েও খারাপ অবস্থা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোর। পটুয়াখালীর ছয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি কুয়াকাটা ও কাঁঠালতলীর ২০ শয্যার দুটি হাসপাতালের জন্য অনুমোদিত চিকিৎসকের পদ আছে ২০১টি। তার বিপরীতে কর্মরত আছেন মাত্র ৯৮ জন। অর্থাৎ অর্ধেকেরও কম। কাছাকাছি অবস্থা বিভাগের অন্যান্য উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সেরও।জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে কীটপতঙ্গ ও পানিবাহিত রোগব্যাধি দ্রুত বাড়ছে। এ ছাড়া এ জেলাগুলোতে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি। যাতায়াতের সমস্যাও প্রকট। দূর–দূরান্তে গিয়ে চিকিৎসা নেওয়ার সক্ষমতাও নেই অধিকাংশের। বিশেষ করে নারীদের চিকিৎসার সমস্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোই বেশির ভাগ মানুষের প্রধান বা একমাত্র ভরসা। এমন প্রেক্ষাপটে উপকূলীয় জেলাগুলোর হাসপাতালে এ ধরনের চিকিৎসক সংকট কোনোভাবেই কাম্য নয়।আমরা চাই উপকূলীয় জেলাগুলোতে থাকা হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক ও অন্যান্য জনবল সংকট দ্রুততম সময়ে দূর করা হোক। পাশাপাশি হাসপাতালগুলো যাতে পরিপূর্ণভাবে রোগীদের সেবা দিতে পারে, সেভাবে আধুনিকায়ন করা হোক।