প্রতিদিনই কোনো না কোনো এলাকায় হত্যা, ছিনতাই, দখল, চাঁদাবাজিসহ তুচ্ছ কারণে পিটিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা ঘটছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন স্বৈরাচার পতনের এক দফা আন্দোলনে রূপ নিলে সারা দেশে ব্যাপক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। বহু থানা, পুলিশ ফাঁড়ি এবং কয়েকটি কারাগারেও হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় আন্দোলনকারীদের মধ্যে লুকিয়ে থাকা দুষ্কৃতকারীরা প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে।
এই সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৭৪ জন সন্ত্রাসী। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে রিভলভার ১৯টি, পিস্তল ৭৬টি, রাইফেল ২২টি, শটগান ৩৭টি, পাইপগান আটটি, শ্যুটার গান ৪৩টি, এলজি ৩১টি, বন্দুক ৪৮টি, একে-৪৭ একটি, এসএমজি পাঁচটি, গ্যাসগান চারটি, এয়ারগান ১০টি, এসবিবিএল ১০টি, টিয়ার গ্যাস লঞ্চার দুটি এবং থ্রি-কোয়ার্টার দুটি।
প্রকাশিত অপর একটি খবরে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বগুড়া সদর থানা থেকে ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং প্রায় আট হাজার রাউন্ড গুলি খোয়া যায়। এ পর্যন্ত মাত্র ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বাকি ২৫টি আগ্নেয়াস্ত্র কাদের কাছে?
তারা এসব অস্ত্র দিয়ে কী করছে? পুলিশি কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় চোরাচালান হয়ে আসা আগ্নেয়াস্ত্রের কেনাবেচাও বেড়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়। মানবাধিকারকর্মী ও অপরাধ বিশ্লেষক নুর খান বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারলে সমাজে হানাহানি আরো বাড়বে।
পরিস্থিতি ক্রমেই খারাপের দিকে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গুলিতে অনেক মানুষ মারা গেছে। এতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে।’ তিনি দ্রুত আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের দাবি জানান।
নিরাপদে এবং মানসম্মান নিয়ে বসবাস করা মানুষের মৌলিক অধিকার। আর মানুষের সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আমরা চাই, দ্রুততম সময়ে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হোক। পুলিশি কার্যক্রম জোরদার করা হোক। সমাজে শান্তি ফিরে আসুক।