English

28 C
Dhaka
বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৪
- Advertisement -

জননিরাপত্তা নিশ্চিত করুন: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

- Advertisements -
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই মাস হতে চলেছে। এখনো সারা দেশে পুলিশি কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। আর এই সুযোগে অপরাধীরা তাদের তৎপরতা বাড়িয়েই চলেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হামলা, লুটপাট, রাহাজানি, চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনা ঘটেই চলেছে।
বাড়ছে হত্যাকাণ্ডের মতো গুরুতর অপরাধও। কথায় কথায় খুনাখুনি হচ্ছে। পিটিয়ে মানুষ মারা হচ্ছে। অনেক মানুষ নিখোঁজ হচ্ছে, যেখানে-সেখানে মৃতদেহ পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে পুলিশি কার্যক্রমে শিথিলতার সুযোগ নিচ্ছে মাদক কারবারি, অস্ত্র ব্যবসায়ী, চোরাকারবারিসহ অন্যান্য অপরাধীও। ক্রমেই নানা রকম অপরাধ তৎপরতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। গতকাল কালের কণ্ঠে প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, দেশের সব থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে এরই মধ্যে নানা উদ্যোগ নিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। আইন-শৃঙ্খলা বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই পরিস্থিতিতে যেকোনো মূল্যে পুলিশি কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে।
আর এ জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
ব্যাপক গণ-আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এ সময় থানা ভবন ও পুলিশের ওপরও ব্যাপক হামলার ঘটনা ঘটে। অনেক থানা ভবন ও যানবাহন পুড়িয়ে দেওয়া হয়। অনেক পুলিশ সদস্য নিহত হন।
এই ঘটনা পুলিশের মনোবলে আঘাত করে। হতাহতের ঘটনায় পুলিশের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ-অভিযোগ তৈরি হয়। এ নিয়ে ৫ আগস্টের পর রাজারবাগে পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে দেখা যায়। পুলিশের বর্তমান নেতৃত্ব সেই ক্ষোভ অনেকটাই প্রশমন করতে সক্ষম হন। পুলিশ সদস্যরা আবার স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে এসেছেন। কিন্তু কাজের পরিবেশ, যানবাহনসহ রসদের ঘাটতি কাজের স্বাভাবিকতাকে ক্ষুণ্ন করছে। আবার অনেক সদস্য এখনো কাজে যোগ দেননি। থানাগুলো থেকে লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধারে দেশব্যাপী যৌথ অভিযান চলছে। তা সত্ত্বেও এখনো অনেক অস্ত্র উদ্ধার করা যায়নি। ধারণা করা হয়, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পেছনে এসব অস্ত্রও একটি বড় ভূমিকা পালন করছে।
মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার নিরাপত্তা ও মানসম্মান নিয়ে বসবাস করা। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে কিংবা অরাজকতা বৃদ্ধি পেলে মানুষের সেই অধিকার ক্ষুণ্ন হয়। মানুষ অসহায় হয়ে পড়ে। তাই সবার আগে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। যেকোনো মূল্যে পুলিশি কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে হবে। পুলিশের মনোবল বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। কাজের পরিবেশ উপযোগী ও উন্নত করতে হবে। যানবাহন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে। আমরা আশা করি, জননিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়নে অন্তর্বর্তী সরকার অবশ্যই সফল হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন