English

15 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

জনদুর্ভোগ দূর করুন: বিদ্যুতের অভাবে ভোগান্তি চরমে

- Advertisements -
আধুনিক জনজীবনে বিদ্যুৎ ছাড়া এক মুহূর্তও চলে না। তার ওপর চলছে ভাদ্র মাস। এই সময়ের ‘তাল পাকা গরম’ রীতিমতো অসহনীয়। অথচ কিছুদিন ধরেই চলছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে অসহনীয় হয়ে উঠেছে জনজীবন। রাজধানীসহ বড় শহরগুলোতে লোডশেডিং কয়েক ঘণ্টা বা কিছুটা কম হলেও রাজধানীর বাইরের জেলা শহর ও গ্রামাঞ্চলে ১২ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এতে গরমে কষ্ট যেমন হচ্ছেতেমনি ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিদ্যুিনর্ভর ক্ষুদ্র  কুটির শিল্পগুলো। আমন ধান লাগানোর এই সময়ে জমিতে সেচ দেওয়া জরুরি হলেও বিদ্যুতের অভাবে ঠিকমতো সেচ দেওয়া যাচ্ছে না। এতে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) সূত্রে জানা যায়, সাড়ে তিন মাস ধরে সামিট গ্রুপের একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
সে কারণে গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন দৈনিক এক হাজার ২০০ মেগাওয়াটের মতো কম হচ্ছে। বকেয়া পরিশোধ না করায় ভারতের আদানি গ্রুপও ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। আবার কয়লাসংকটে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং এস আলমের বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন কমে গেছে। কারিগরি ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে যায় বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন। বকেয়ার কারণে বেসরকারি খাতের তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকেও সর্বোচ্চ চাহিদায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাচ্ছে না।
ফলে দেশে বিদ্যুতের বড় ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিপিডিবির তথ্য মতে, বর্তমানে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। আর দৈনিক গড়ে ১৩-১৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হওয়ায় দৈনিক লোডশেডিং করতে হচ্ছে দু-তিন হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের দায়িত্বে থাকা রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে দেশে লোডশেডিং হয়েছে এক হাজার ৮৭৩ মেগাওয়াট।
 সময় ১৪ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে উৎপাদিত হয়েছে ১২ হাজার ৬৮৯ মেগাওয়াট। শুধু বিদ্যুৎ নয়, গ্যাসসংকটও তীব্র হয়ে উঠছে। অনেক এলাকায় দিনে রান্না করা যায় না।

সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ থাকে না। গাড়িগুলোকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের সহানুভূতি রয়েছে। তাই দুর্ভোগ সহ্য করেও মানুষ অপেক্ষায় আছে, রাস্তায় নেমে আসছে না। কিন্তু অনেকেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেএভাবে চলতে থাকলে তারা রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হবে। তেমন পরিস্থিতি কারো জন্যই সুখকর হবে না। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরবরাহ বাড়িয়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন