গত বছর বিজিবি সদস্যরা চোরাই পথে আসা ৭৭টি পিস্তল, আটটি ওয়ান শুটারগান, একটি একে-৪৭ রাইফেল, তিনটি রিভলবার, ১১টি এয়ারগান, তিনটি পাইপগান, আটটি ওয়ান শুটার পিস্তল, একটি দোনলা বন্দুক, ৭৬টি ম্যাগাজিন ও ৩৭২টি গুলি উদ্ধার করেছে। তবে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের পরিমাণ যে অনেক বেশি, তার প্রমাণ আকুল চক্রের কাছে পাওয়া এবং তাঁদের মাধ্যমে বিক্রি হওয়া অস্ত্র।
এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজলেই থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। বিজিবি বা কোস্টগার্ড সদস্যরা সীমান্ত পথে কিছু অস্ত্র আটক করার তালিকা পেশ করে আত্মতৃপ্তি লাভ করতে পারেন। তাতে এ অবৈধ অস্ত্রের চালান আসা বন্ধ হবে না। তাই অবৈধ অস্ত্রের চোরাচালান বন্ধ করতে হলে আকুলদের নেপথ্যের হোতাদেরও ধরতে হবে। বিস্ময়কর হলো অস্ত্রসহ আকুল ধরা পড়ার পরও সেখানকার ছাত্রলীগ তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তাহলে কি তাঁরা এ অবৈধ অস্ত্র ব্যবসার হোতাকে রাজনৈতিকভাবে সুরক্ষা দিচ্ছেন? সরকারি দলের নেতারা কথায় কথায় ষড়যন্ত্র ও অন্তর্ঘাত খুঁজে বেড়ান। এবার নিজেদের দিকে চোখ ফেরান।