উপজেলা হাসপাতাল নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত খবর থাকছে। প্রধান অভিযোগ, চিকিৎসক থাকেন না। এ ছাড়া অ্যাম্বুল্যান্স না থাকা, রোগ নির্ণয় বা চিকিৎসাসংক্রান্ত যন্ত্রপাতি অকেজো থাকা, লোকবল না থাকা, রোগীদের বাইরের ক্লিনিক থেকে অত্যধিক মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো—এমন অভিযোগ অনেক আছে।
পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি হঠাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপস্থিত হন। এরপর মাত্র ২২ দিন সেখানে দায়িত্ব পালনের পর ৯ অক্টোবর থেকে ফের অনুমোদন ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়েছে। সেখানে কর্মরত কোনো চিকিৎসা কর্মকর্তাই সহজে আউটডোরে বসেন না।
সে কারণে কয়েকজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসারই রোগীদের ভরসা। শুধু গোয়ালন্দ নয়, সারা দেশের উপজেলা হাসপাতালগুলোর অবস্থা কমবেশি একই রকম। কোনো রকমে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। আরো করুণ দশা ইউনিয়নভিত্তিক কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর। তাহলে গ্রামাঞ্চলের অতিদরিদ্র এসব মানুষ চিকিৎসার জন্য কোথায় যাবে?
প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মানুষের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কমিউনিটি হেলথ ক্লিনিক খুবই জরুরি।
এগুলো যাতে সঠিকভাবে কাজ করে, রোগীরা যাতে রোগ নির্ণয়সহ অন্যান্য সেবা সঠিকভাবে পায়, সরকারি ওষুধ পায়, হাসপাতালের অবকাঠামো যাতে ঠিক থাকে, সেসব দিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরো উদ্যোগী হতে হবে। স্বাস্থ্যসেবাকে প্রকৃত অর্থেই জনগণের দোরগোরায় নিয়ে যেতে হবে।