English

25 C
Dhaka
শনিবার, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
- Advertisement -

চিকিৎসাসেবায় অনিশ্চয়তা: সরকারি হাসপাতালে অচলাবস্থা

- Advertisements -
অসুখবিসুখে দেশের বেশির ভাগ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর প্রধান গন্তব্য সরকারি বিভিন্ন হাসপাতাল। এসব হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ সারি লেগেই থাকে। কিছু কিছু বিশেষায়িত হাসপাতালে রোগীদের টিকিট পেতেই ভোররাতে গিয়ে লাইন দিতে হয়। তার পরও অনেক সময় টিকিট পাওয়া যায় না।
আর সেবা পেতে বা হাসপাতালে ভর্তি হতে কয়েক মাসও অপেক্ষায় থাকতে হয়। অথচ সেসব সরকারি হাসপাতালে এখন চিকিৎসক, কর্মচারী, টেকনিশিয়ান, নার্স বা অন্যান্য লোকবলের ব্যাপক অনুপস্থিতি দেখা যাচ্ছে। ফলে সেবা প্রদান মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হঠাৎই হাসপাতালে সেবা প্রদানকারী লোকজনের এমন অনুপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে।
এক সপ্তাহ ধরেই চলছে এমন অবস্থা। কারণ হিসেবে অনেকেই পেশাজীবী সংগঠনগুলোর অতীত রাজনৈতিক পক্ষপাত ও পারস্পরিক রেষারেষিকে দায়ী করছেন। পটপরিবর্তনের কারণে ভয়ভীতি থেকেই অনেকে হাসপাতালে আসছেন না। প্রকাশিত খবরে দেখা যায়, সরকারি হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন গড়ে কাজে আসছেন মাত্র ৫২ শতাংশ।
অর্থাৎ কোনো ধরনের ছুটি ছাড়াই হাসপাতালে অনুপস্থিত থাকছেন ৪৮ শতাংশ।  গতকাল সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দৈনিক উপস্থিতি রিপোর্ট থেকে জানা যায়, অনুপস্থিত থাকা কর্মীদের মধ্যে রয়েছেন
হাসপাতালের কর্মকর্তা, চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান ও ওয়ার্ডবয়। এর ফলে গুরুতর রোগীরাও চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা যায়, পরিস্থিতি প্রতিকূলে থাকার কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থক চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) ও চিকিৎসকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সামনের সারিতে থাকা অনেকেই এখন হাসপাতালে আসছেন না। আবার অনেকে ঢিলেঢালা প্রশাসনিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ নিয়েও কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন।

ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ আগস্ট দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন ৫০ হাজার ৮৪৯ জন। ছুটিতে ছিলেন এক হাজার ৩৫ জন। ছুটি ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন ৪১ হাজার ৯৩২ জন, যা মোট জনবলের প্রায় অর্ধেক (৪৪.৬৮ শতাংশ)।

মানুষের অসুখবিসুখ তো আর বলে-কয়ে হয় না কিংবা পরিস্থিতি বিবেচনা করেও হয় না। সাধারণত অসুখ গুরুতর হলেই মানুষ হাসপাতালে আসে। তাই গুরুতর এসব রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করতে জরুরি ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক বা অন্যদের মধ্যে থাকা শঙ্কা কাটানোর উদ্যোগ নিতে হবে। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি এই ক্রান্তিকালে অতি সম্প্রতি অবসর নেওয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, নার্স, পুষ্টিবিদ ও জনস্বাস্থ্যবিদদেরও কাজে লাগানো যেতে পারে বলে মনে করেন অনেক বিশেষজ্ঞ।

আমরা চাই, দেশের সব সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা দ্রুত নিশ্চিত করা হোক।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন