চিকিৎসকরা সাধারণত মানসিক সমস্যাকে দুই ভাগে ভাগ করে থাকেন—গুরুতর ও সাধারণ সমস্যা। গুরুতর সমস্যার মধ্যে রয়েছে সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার মুড ডিস-অর্ডার, স্মৃতিভ্রংশতা, আলঝেইমারস ইত্যাদি। আর সাধারণ সমস্যার মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, শুচিবায়ু বা অবসেসিভ কমপালসিভ ডিস-অর্ডার, ফোবিয়া বা অহেতুক ভীতি, বিষণ্নতা ইত্যাদি।
সব ধরনের সমস্যায়ই চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন। আর গুরুতর সমস্যাগুলোর চিকিৎসা না নিলে রোগী নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তারা নিজের জীবন পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়ে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, প্রায় ১ শতাংশ মানুষ গুরুতর মানসিক সমস্যা সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত। এতে রোগীর মধ্যে ভুল ধারণা, অবাস্তব চিন্তা-ভাবনা, অকারণ সন্দেহ, বিভ্রান্তি, বিড়ম্বনা ইত্যাদি দেখা যায়। রোগীর ডিল্যুশন বা হেলুসিনেশনও হতে পারে। সেই হিসাবে বাংলাদেশে ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে অন্তত ১৭ লাখের এই সমস্যা রয়েছে। কিন্তু এর ১ শতাংশও চিকিৎসকের কাছে যায় না কিংবা যখন যায় তখন আর করার প্রায় কিছুই থাকে না।
শারীরিক সুস্থতার জন্যও মানসিক সুস্থতা অত্যন্ত জরুরি। শরীর ও মন একটিকে ছাড়া আরেকটির সুস্থতা সম্ভব নয়। জনস্বাস্থ্যের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে এমন অবহেলা কাম্য নয়। আমরা চাই, মানসিক স্বাস্থ্য চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা হোক।