English

33 C
Dhaka
বুধবার, মার্চ ১২, ২০২৫
- Advertisement -

খুলছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে

- Advertisements -

দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত এসেছে সরকারের পক্ষ থেকে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এখন শুধু দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস হবে। বাকিরা সপ্তাহে এক দিন করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে ক্লাস করবে। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। করোনার সার্বিক পরিস্থিতি দেখে এবং কভিড-১৯ জাতীয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

পরীক্ষা ছাড়াই এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশের বিদ্যমান আইন সংশোধনের প্রস্তাবও সংসদে পাস হয়েছে। এ বছর এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে নেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে বলে খবরে প্রকাশ। চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা প্রায় একটি বছর সরাসরি ক্লাসে অংশগ্রহণ করেনি বিধায় এবার এই দুটি পরীক্ষার সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। এরপর তা সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হচ্ছে। এর ভিত্তিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।

কভিড আমাদের চ্যালেঞ্জের মধ্যে নিয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে দেশের শিক্ষা, কভিডের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যেসব সুযোগ ছিল, শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল, তা ন্যূনতম পর্যায়ে রাখতে পেরেছি। গত কয়েক বছরে ঝরে পড়া কমে আসার পরও সরকারি হিসাবে গত বছর প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭.৯০ শতাংশ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।

এবার করোনাভাইরাস মহামারি এই সংখ্যা কোথায় নিয়ে যাবে, তা-ই এখন শঙ্কার বিষয়। করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার মধ্যে রাখতে টেলিভিশনে ক্লাস সম্প্রচার করা হলেও তা কতটা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে, তা নিয়ে বিতর্ক আছে।

করোনাকালের আরেক চ্যালেঞ্জ অভিভাবকদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এরই মধ্যে ঢাকাসহ অন্যান্য শহর ছেড়েছে বহু শিশু, অর্থনৈতিক দুর্দশার শিকার হয়ে কাউকে কাউকে বই-খাতা ছেড়ে বসতে হয়েছে বিয়ের পিঁড়িতে, কেউ কেউ কলকারখানায় শ্রমিকের কাজ বেছে নিয়েছে। কেউ গাড়ির হেল্পারি করছে।

এই পরিস্থিতিতে মহামারি শেষে স্কুল খুললে বাংলাদেশে কতসংখ্যক শিশু লেখাপড়ার বাইরে চলে যাবে, সেই পরিসংখ্যান এখনো আসেনি। একটি বেসরকারি সংস্থার জরিপে ৪০ শতাংশ শিশু ঝরে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। করোনায় শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। তাঁরা সেশনজটে পড়তে যাচ্ছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই হবে না। স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে। এখনো মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। আমরা আশা করব, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পর স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ
- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন