শুষ্ক মৌসুমে দেশের অনেক এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সরবরাহ অনেক কমে যায়। শরণখোলা উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, শরণখোলায় সারা বছরই সুপেয় পানির সংকটে থাকে ২০ শতাংশ মানুষ। আর শুষ্ক মৌসুমে খাওয়ার এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহারের পানির সংকটে থাকে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষ। পানির এই সংকটের স্থায়ী সমাধান করতে হলে উপজেলার চারটি ইউনিয়নে নতুন করে আরো অন্তত ১০০ বড় পুকুর খনন করা প্রয়োজন। রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলের অবস্থা ক্রমেই শোচনীয় রূপ নিচ্ছে। রাজবাড়ী ও চুয়াডাঙ্গার মতো আরো অনেক স্থানেই মানুষের জীবনধারণ কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ক্রমেই নিচে নেমে যাওয়ার অন্যতম দুটি কারণ হচ্ছে বোরো আবাদ, নগরীতে পানি সরবরাহসহ অন্যান্য কারণে অত্যধিক পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন এবং নদ-নদী, জলাশয় ভরাট ও শুকিয়ে যাওয়ার কারণে ভূগর্ভে পানির অনুপ্রবেশ কমে যাওয়া। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন। ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন কমাতে হবে। শহরাঞ্চলে নদ-নদী বা জলাশয়ের পানি শোধনের মাধ্যমে সরবরাহ বাড়াতে হবে। পুকুর-জলাশয় খননের মাধ্যমে ভূগর্ভে পানির অনুপ্রবেশ বাড়াতে হবে। এর আগে দুর্গত অঞ্চলগুলোর মানুষের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করতে হবে।