English

16 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ১০, ২০২৫
- Advertisement -

ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পাশে দাঁড়ান: গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি

- Advertisements -
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নির্ভর করে দেশটির শিল্পের উন্নয়নের ওপর। দেশের শিল্প উন্নত ও আধুনিক না হলে যেকোনো দেশই অন্য দেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের শিল্প কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। রাষ্ট্রায়ত্ত অনেক শিল্প-কারখানা একে একে বন্ধ হয়েছে। কমেছে উৎপাদনশীলতা। বেসরকারি খাতে দেশের শিল্প নতুন করে বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে উঠতে থাকায় নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু শিল্প বিকাশের পথে আমরা কি অন্তরায় সৃষ্টি করছি?শিল্প বিকাশের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরি করে দিতে হয়। দূর করতে হয় শিল্পের বাধা। কিন্তু বাংলাদেশের শিল্প ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথচলা যেন সম্পূর্ণ বিপরীত। এখানে শিল্প বিকাশের পথে বারবার বাধার সৃষ্টি করা হয়েছে। বিকাশমান শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে নানাভাবে। কালের কণ্ঠে সম্প্রতি প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের একই হারে গ্যাসের দাম নির্ধারণ এবং দুই দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। অতীতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন খরচ যাতে কম বাড়ে, সেদিকে নজর রাখা হতো। এবার তা হয়নি। উদ্যোক্তাদের ভাষ্য, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন খরচ ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। কারণ একই সময় কাঁচামালের দামও বেড়েছে।

করোনার ধাক্কায় বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলও ভেঙে পড়েছে। অনেক দেশই আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোতে। রপ্তানি কমে গেছে। এসএমই ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সূত্র মতে, দেশে সিএসএমই খাতের উদ্যোক্তা ছিল এক কোটির ওপরে। করোনার কারণে ৩০-৪০ শতাংশের মতো বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে মনে করেন, এই খাতে যদি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম না কমানো হয় বা ভর্তুকি দেওয়া না হয়, তাহলে সামনে আরো শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে।

বর্তমানে শতাধিক পণ্য নিয়ে কাজ করছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা। তার মধ্যে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন পণ্য নিয়েও কাজ করছেন অনেক উদ্যোক্তা। কিন্তু করোনার প্রভাব পড়েছে দেশীয় শিল্পোৎপাদনে। অনেক শিল্প-কারখানা টিকে থাকতে পারবে না।

শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। সব ধরনের শিল্পেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। তাতে সক্ষমতা হারাবে দেশি শিল্প। বিদেশি পণ্যের কাছে মার খাবে দেশে উৎপাদিত পণ্য। দেশে উৎপাদন ব্যাহত হলে আমদানি বাড়বে। দেশ শিল্পবাজার হারাবে। কাজেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য কী করে সমন্ব্বয় করা যায়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা উচিত বলে আমরা মনে করি।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন