করোনার ধাক্কায় বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খলও ভেঙে পড়েছে। অনেক দেশই আমদানি কমিয়ে দিয়েছে। তার প্রভাব পড়েছে আমাদের রপ্তানিমুখী শিল্পগুলোতে। রপ্তানি কমে গেছে। এসএমই ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সূত্র মতে, দেশে সিএসএমই খাতের উদ্যোক্তা ছিল এক কোটির ওপরে। করোনার কারণে ৩০-৪০ শতাংশের মতো বন্ধ হয়ে গেছে। অনেকে মনে করেন, এই খাতে যদি গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম না কমানো হয় বা ভর্তুকি দেওয়া না হয়, তাহলে সামনে আরো শিল্প বন্ধ হয়ে যাবে।
বর্তমানে শতাধিক পণ্য নিয়ে কাজ করছেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের উদ্যোক্তারা। তার মধ্যে রপ্তানিমুখী বিভিন্ন পণ্য নিয়েও কাজ করছেন অনেক উদ্যোক্তা। কিন্তু করোনার প্রভাব পড়েছে দেশীয় শিল্পোৎপাদনে। অনেক শিল্প-কারখানা টিকে থাকতে পারবে না।
শিল্পে ব্যবহৃত বিদ্যুতের দামও বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে দেশে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের দাম বাড়বে। সব ধরনের শিল্পেই এই মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়বে। তাতে সক্ষমতা হারাবে দেশি শিল্প। বিদেশি পণ্যের কাছে মার খাবে দেশে উৎপাদিত পণ্য। দেশে উৎপাদন ব্যাহত হলে আমদানি বাড়বে। দেশ শিল্পবাজার হারাবে। কাজেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্য কী করে সমন্ব্বয় করা যায়, সে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গেই দেখা উচিত বলে আমরা মনে করি।