এর পাশাপাশি রয়েছে অনাবৃষ্টি বা অতিবৃষ্টির ক্ষয়ক্ষতি। এতে জনস্বাস্থ্যের ওপর যেমন প্রভাব পড়ে, তেমনি ফসল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০১৯ সালে প্রকাশিত ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে দুই কোটি শিশু প্রবল ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু বন্যার কারণেই প্রবল ঝুঁকিতে আছে এক কোটি ২০ লাখ শিশু।
উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা বৃদ্ধি এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কারণে ঝুঁকিতে রয়েছে ৪৫ লাখ শিশু। লবণাক্ততার কারণে গর্ভবতী মায়েরাও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন। উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে খরার কারণে আরো প্রায় ৩০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের একটি বড় অংশই পরিবারের সঙ্গে বাস্তুচ্যুত হয়ে বড় শহরে আশ্রয় নেয়। তাদের শিক্ষা ও বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বা জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। আমরা যা করতে পারি তা হলো, এসবের কারণে যে প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি হবে কিংবা যেসব দুর্যোগ নেমে আসবে, আগাম প্রস্তুতির মাধ্যমে সেগুলোর ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।
এ জন্য নিয়মিত গবেষণার পাশাপাশি প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে হবে। সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিতে হবে। বন্যা ও জলাবদ্ধতার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে নদী ও জলাধারগুলো সংস্কার করতে হবে। খরা মোকাবেলায়ও জলাধারগুলো ভূমিকা রাখবে। জনস্বাস্থ্য, খাদ্য নিরাপত্তাসহ অন্যান্য দিকেও সঠিক পরিকল্পনা নিতে হবে। সরকারের গৃহীত বদ্বীপ পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।