মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার যেন দুর্নীতির আখড়া।
সরকার অভিবাসন খরচ ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকা নির্ধারণ করলেও কর্মীরা জনপ্রতি সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। আইনে নিষিদ্ধ হলেও ভিসা কেনাবেচার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিটি ভিসা ন্যূনতম ছয় হাজার রিঙ্গিত করে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো কিনেছে।
নিয়ন্ত্রণকারী সিন্ডিকেটের হোতাদের কর্মীপ্রতি এক লাখ ৪২ হাজার টাকা চাঁদা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিপরীতে সেখানে যাওয়া কর্মীরা পাননি কোনো কাজ। বেতন ও কাজ না পাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন লাখো কর্মী। মালয়েশিয়ায় গিয়েও অনেকে বেকার থাকছেন, সেটা সরকারও স্বীকার করে।
দুই দেশে সিন্ডিকেটের তৎপরতার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে চাহিদার চেয়ে বেশি কর্মী গেছেন মালয়েশিয়ায়। এই পরিপ্রেক্ষিতে এ বছর জানুয়ারিতে মালয়েশিয়া সরকার ঘোষণা করে ১৪টি দেশ থেকে কর্মী নেওয়া হবে না। জানুয়ারি থেকে মে—পাঁচ মাস সময় পেয়েও কেন সময়টা কাজে লাগানো হলো না? অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, মালয়েশিয়ায় ৩১ মের মধ্যে কর্মী পাঠানোর প্রক্রিয়া আরো দ্রুত করার প্রয়োজন ছিল। আবার যাঁরা যেতে পেরেছেন, তাঁরা সবাই যে কাজ পাবেন, তারও নিশ্চয়তা নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিষয়টি মনিটর করা প্রয়োজন। পাশাপাশি সিন্ডিকেট, দুর্নীতি ও অনিয়ম বন্ধে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহির মধ্যে রাখতে হবে।