এরই মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন স্থানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিভিন্ন পণ্যের অবৈধ মজুদ পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বিচ্ছিন্ন কিছু উদ্যোগ এই ক্ষেত্রে খুব একটা কার্যকর হবে না। প্রয়োজন হবে সমন্বিত পদক্ষেপের।
কখন বাজারে কোন পণ্যের ঘাটতি হতে পারে, তা জেনে আগেভাগেই আমদানির মাধ্যমে বাজারের সরবরাহ শৃঙ্খল ঠিক রাখতে হবে। অভিযোগ আছে, সিন্ডিকেটের অনেক সদস্য আমদানির সঙ্গে জড়িত। বাজার অস্থিতিশীল করার জন্য সময়বিশেষে তারা পরিকল্পিতভাবে আমদানি বিলম্বিত করে। তাই তাদের হাতে আমদানি সীমিত না রেখে আমদানিকারকের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
গত রবিবার অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যপণ্যের দাম মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন। এই লক্ষ্যে তিনি বেশ কিছু দিকনির্দেশনাও দিয়েছেন।
জানা যায়, এসব নির্দেশনার মধ্যে বাজারে পণ্য সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন করা, পণ্য পরিবহন পর্যায়ে যেন কোথাও কোনো প্রতিবন্ধকতা না থাকে, বাজার ব্যবস্থাপনায়ও যাতে কোনো সমস্যা না থাকে—এসব দেখতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে এরই মধ্যে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
আমরা আশা করি, আসন্ন রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই থাকবে। পাশাপাশি সারা বছরই বাজার সহনশীল রাখতে জোরদার স্থায়ী উদ্যোগ প্রয়োজন।