ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছেন অনেক উদ্যোক্তা। অনেক ব্যবসায়ী ব্যাংকঋণ কিংবা ঋণের সুদ সময়মতো পরিশোধ করতে না পারায় ঋণখেলাপি হয়ে যাচ্ছেন কিংবা খেলাপি হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
এমনিতেই বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ অনেক খারাপ। বিশ্বব্যাংকের ডুয়িং বিজনেস রিপোর্টে দেখা যায়, ব্যবসা শুরুর পরিবেশ বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান একেবারে তলানিতে।
কয়েক বছরের মধ্যে টাকার অনেক অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৮৫ থেকে বাড়তে বাড়তে বর্তমানে এক মার্কিন ডলারের মূল্য দাঁড়িয়েছে ১১৮ টাকায়। তা-ও পর্যাপ্ত ডলার পাওয়া যায় না। আমদানি বাধাগ্রস্ত হয়। কাঁচামাল আমদানির খরচ বেড়ে যায়। বাড়ে উৎপাদন খরচ। উৎপাদিত পণ্যেরও মূল্য বৃদ্ধি পায়। আবার পণ্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে কমছে পণ্যের চাহিদা। ফলে বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের এখন বহুমুখী সংকট মোকাবেলা করতে হচ্ছে। ব্যবসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন বড় ব্যবসায়ীরা। মাঝারি ও ছোট ব্যবসায়ীরাও ক্রমেই কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন।
দেশে জনসংখ্যা বাড়ছে। কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। তাঁদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন দ্রুত শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার। এ জন্য দেশে একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে সুশাসন তৈরি করতে হবে। ব্যাংকঋণ প্রাপ্তির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক ও অন্যান্য প্রভাব দূর করে প্রকৃত উদ্যোক্তারা যাতে ঋণ পান, তা নিশ্চিত করতে হবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করতে হবে। ব্যবসা শুরুর সূচকে অগ্রগতি করতে হবে। ব্যবসার প্রসারে প্রতিবন্ধকতা নয়, সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড চালু করতে হবে।