English

22 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ৩১, ২০২৫
- Advertisement -

কাজের মান রক্ষা করতে হবে: হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ

- Advertisements -
হাওরাঞ্চল দেশের প্রধান খাদ্যভাণ্ডার। বোরো ধানের এক-চতুর্থাংশই উৎপন্ন হয় এখানে। হাওরবাসীদের একমাত্র ফসলও এটি। কোনো কারণে বোরো ধানের ক্ষতি হলে তাদের দুঃখের সীমা থাকে না।
সে কারণে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও সংরক্ষণে প্রতিবছরই সরকারকে শত শত কোটি টাকা ব্যয় করতে হয়। কারণ প্রতিবছরই বর্ষায় বাঁধের অনেক ক্ষতি হয়। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, পাহাড়ি ঢল থেকে সুনামগঞ্জের ১৪টি হাওরের ফসল রক্ষায় সরকার স্থায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করছে। প্রায় ১৯ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এসব বাঁধ তৈরিতে ব্যয় হবে প্রায় ২৫৬ কোটি টাকা।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ‘বন্যা ব্যবস্থাপনা পুনর্গঠন, জরুরি সহায়তা প্রকল্প’ এই কাজ বাস্তবায়ন শুরু করছে। প্রকল্পে শুধু বাঁধ নির্মাণই নয়; ফ্লাড ফিউজ নির্মাণ, নদীর তীর রক্ষা, রেগুলেটর নির্মাণ ও সংস্কার, ভিলেজ ফ্লাডফরম নির্মাণ ও বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম রয়েছে। সব মিলিয়ে এতে ব্যয় হবে প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা।

হাওরের ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে ভিন্ন।

বছরের বেশির ভাগ সময় পানিতে ডুবে থাকে বলে এখানকার উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎ সেভাবেই বিকশিত হয়েছে। পরিবেশবাদীদের দাবি, এখানে বাঁধ, সড়ক ও অন্যান্য উন্নয়নকাজও হতে হবে এখানকার প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের কোনো ক্ষতি না করে। অনেকের মতে, মাছ হাওরের অর্থনীতিতে ধানের চেয়েও বড় ভূমিকা রাখে। মাছের বিচরণ ও প্রজনন যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। ধারণা করা হয়, সেভাবেই পরিকল্পনা সাজিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

বাঁধের নির্দিষ্ট পয়েন্টে ফ্লাড ফিউজ নির্মাণ করা হবে। ফসল কাটার পর সেগুলো খুলে দেওয়া হবে পানি বের করা ও নৌযান চলাচলের জন্য।

শুধু বাঁধ নির্মাণ নয়, নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষা করাও জরুরি। সুনামগঞ্জের হাওরগুলোর ওপর দিয়ে প্রবাহিত বেশির ভাগ নদী সীমান্তের ওপারের পাহাড়ি এলাকা থেকে এসেছে। প্রতিবছর পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে প্রচুর বালু ও পলি এসে নদীগুলো ভরাট করছে। নিয়মিত খননের অভাবে অনেক নদী ভরাট হয়ে গেছে। এসব নদী ঢলের পানি ধারণ করতে পারে না, তখন দুই কূল উপচে পানি ফসলের মাঠে ছড়িয়ে পড়ে। পানি নামতেও বিলম্ব হয়। তাই নদীগুলোর পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি এবং পানিপ্রবাহের পথ সুগম করা জরুরি।

আমরা মনে করি, প্রকৌশলী, প্রাণিবিজ্ঞানী, কৃষিবিজ্ঞানী, মৎস্যবিজ্ঞানী, পরিবেশবিদসহ সংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে হাওরের জন্য একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে এবং সে অনুযায়ী হাওরের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি বাস্তবায়িত কাজের মান ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন