English

17 C
Dhaka
রবিবার, জানুয়ারি ১৯, ২০২৫
- Advertisement -

কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করুন: শ্রমশক্তির অর্ধেকই উপার্জনহীন

- Advertisements -
আমাদের সমাজ একটি পালাবদলের মধ্য দিয়ে চলছে। দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে দেশের সমাজব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে। আমাদের অনেক উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু আমরা সমন্বিত উন্নয়নের দিকে যেতে পারিনি। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করলেও আমরা কি মানবসম্পদের মানসম্পন্ন উন্নয়ন করতে পেরেছি? দেশে শ্রমশক্তির তুলনায় কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কম।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের একটি বড় অংশই এখন বেকার। পড়াশোনা শেষ করে বছরের পর বছর চাকরির জন্য অপেক্ষা করছে তারা। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও প্রকাশিত ‘বিশ্ব কর্মসংস্থান ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি ২০২৫’-এর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের কর্মক্ষম জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক শ্রমশক্তির বাইরে। দেশের জনসংখ্যার সম্ভাবনার চেয়ে এই পরিমাণ শ্রমশক্তি অপ্রতুল।
বাংলাদেশের বড় সমস্যা হচ্ছে বেকারত্ব। অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়ন করলেও আমরা মানবসম্পদের মানসম্পন্ন উন্নয়ন করতে পারিনি। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কর্মসংস্থান। অথচ বাস্তবতা হচ্ছে, দেশে শ্রমশক্তির তুলনায় কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি কম।
বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত তরুণ-তরুণীদের মধ্যে একটি বড় অংশই এখন বেকার। পড়াশোনা শেষ করে বছরের পর বছর চাকরির জন্য অপেক্ষা করছে তারা। চাহিদা অনুযায়ী কর্মসংস্থান না হওয়ায় প্রতিবছর কর্মক্ষম মানুষ নতুন করে বেকার হচ্ছে। কারণ প্রবৃদ্ধির সমান্তরালে কর্মসংস্থান হচ্ছে না। ফলে দেশের কর্মক্ষম শ্রমশক্তির একটি বড় অংশ কাজের বাইরে থেকে যাচ্ছে।

চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৬ লাখ ৬০ হাজার। আর বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৪৯ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত এক বছরে দেশে তেমন কোনো বিনিয়োগ হয়নি। সরকারি-বেসরকারি সব বিনিয়োগই কমেছে। এর সঙ্গে গত জুলাই থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবও পড়েছে বিনিয়োগে; যার ফলে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে, বেকারত্বের হারও বেড়েছে। শিল্প খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।

বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কর্মসংস্থান। আজকের তরুণদের জন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই এখন জরুরি। ইউএনডিপি গত বছর তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অতিক্রম করছে। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন দক্ষতা উন্নয়ন, তরুণদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রমবাজারের সুশাসন ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। আমরা মনে করি, উচ্চশিক্ষিত তরুণদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে।

Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আজকের রাশিফল

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন