চলতি জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রকাশিত শ্রমশক্তি জরিপের তৃতীয় প্রান্তিকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে বেকারের সংখ্যা বেড়ে এখন ২৬ লাখ ৬০ হাজার। আর বেকারত্বের হার বেড়ে হয়েছে ৪.৪৯ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত এক বছরে দেশে তেমন কোনো বিনিয়োগ হয়নি। সরকারি-বেসরকারি সব বিনিয়োগই কমেছে। এর সঙ্গে গত জুলাই থেকে শুরু হওয়া রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রভাবও পড়েছে বিনিয়োগে; যার ফলে অনেক মানুষ কাজ হারিয়েছে, বেকারত্বের হারও বেড়েছে। শিল্প খাত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বর্তমানে বিনিয়োগের কোনো পরিবেশ নেই। গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটের ধারাবাহিকতার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন কর্মসংস্থান। আজকের তরুণদের জন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করাটাই এখন জরুরি। ইউএনডিপি গত বছর তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অতিক্রম করছে। আমাদের এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
আইএলওর বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পৌটিয়াইনেন দক্ষতা উন্নয়ন, তরুণদের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী শ্রমবাজারের সুশাসন ব্যবস্থার গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন। আমরা মনে করি, উচ্চশিক্ষিত তরুণদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিতে আরো বেশি মনোযোগ দিতে হবে।