অথচ বাংলাদেশ এখন ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড অতিক্রম করছে। কিন্তু এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারছে না বাংলাদেশ।
আজকের তরুণদের জন্য যথাযথ ও পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নেই। এটা ঠিক যে দেশের অনেক তরুণ এখন অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত।
তাদের যথাযথভাবে তৈরি করে কাজে লাগাতে পারলে আগামী দিনের বাংলাদেশ নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করবে। এই মেধাবীদের উপযুক্ত করে তৈরি করতে হলে বিনিয়োগ করতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির কোনো বিকল্প নেই। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি নতুন কর্মপরিবেশের উপযোগী একটি শ্রমশক্তিও তৈরি করতে হবে। দেশে প্রতিবছর নতুন যে জনশক্তি যুক্ত হচ্ছে, তাদের কর্মসংস্থান করতে হবে।
গত কয়েক বছরে সামষ্টিক অর্থনীতিতে বিভিন্ন জটিলতা, ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসাসহ বিভিন্ন সংকটের কারণে কর্মসংস্থান কমছে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞরা। দেশে বিনিয়োগ ও শিল্পায়ন বাড়িয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বিষয়টি বর্তমানের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে বলেও তাঁরা মনে করেন।
অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির যে হার বাংলাদেশে গত দেড় দশকে হয়েছে, তার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যাবে, দারিদ্র্য বিমোচনের হার সেভাবে বাড়েনি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রথমেই দেখতে হবে প্রবৃদ্ধি অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে কি না। একমাত্র কর্মসংস্থানই পারে সাফল্যের সঙ্গে দারিদ্র্য কমাতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া না হলে অন্যান্য খাতেও এই ব্যাধি প্রকট আকার ধারণ করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে যুব সম্প্রদায়ের ভাগ্যোন্নয়ন চলতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। কাজেই দ্রুত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা দরকার।