কখনো কখনো ঠাঁই হয় গণকবরে। তার পরও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেক তরুণই দালালদের পাতা ফাঁদে পা দেয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাগরপারের ইউনিয়ন বাহারছড়া এখন মানবপাচারের কেন্দ্র বলে অভিযোগ উঠেছে। পাচারকারীদের মারধরে একজন ভুক্তভোগী নিহত হয়েছে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের সাগরপথ দিয়ে মানবপাচার মাঝখানে একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাচারে আবার গতি ফিরেছে। টেকনাফের পাহাড়ঘেঁষা ও উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া, বড়ডেইল ও বাঘঘোনা নামের তিনটি গ্রামে আছে মানবপাচারকারীদের ডেরা।
পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি করা এসব ডেরায় দূর-দূরান্ত থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুদের এনে বন্দি করে রাখা হয়। ঘরগুলোতে একবার ঢুকলে আর বের হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। মাসের পর মাস ধরে পাচার করার জন্য লোকজনকে এসব ঘরে আটকে জিম্মি করে মারধরের মাধ্যমে আদায় করা হয় টাকা। জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়ের পর তাদের সাগরে নৌকায় তুলে দেওয়া হয়।
এসব প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমাদের যেমন আইনি ব্যবস্থার অপ্রতুলতা রয়েছে, তেমনি আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর বড় ধরনের নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ রকম আরো অনেক মানবপাচারকারী চক্রই সারা দেশে সক্রিয় রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে কিছু দালাল ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মানবপাচারের বেশির ভাগ মামলার বিচার ও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। যেসব মামলা আলোর মুখ দেখেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বিচারাধীন। আমাদের প্রত্যাশা, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটবে।