English

15 C
Dhaka
শুক্রবার, জানুয়ারি ২৪, ২০২৫
- Advertisement -

কঠোর ব্যবস্থা নিন: সাগরপথে মানবপাচার

- Advertisements -
বাংলাদেশে এখনো বেকার তরুণ ও যুবকের সংখ্যা অনেক। আর এই সুযোগটিই কাজে লাগায় দেশি-বিদেশি মানবপাচারকারী চক্র। উন্নত জীবনের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবছর শত শত তরুণ-যুবকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। হাতিয়ে নেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ।
অনেককে জিম্মি বানিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়। আবার দালালচক্রের মিথ্যা আশ্বাসে প্রতিবছর বহু বাংলাদেশি তরুণ অবৈধ পথে বিদেশে পাড়ি জমায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তাদের পরিণতি হয় অত্যন্ত মর্মান্তিক। হয় সাগরে ডুবে মারা যায়, না হয় মরুভূমিতে অনাহারে বা তৃষ্ণায় জীবন যায়।
কখনো কখনো ঠাঁই হয় গণকবরে। তার পরও বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে অনেক তরুণই দালালদের পাতা ফাঁদে পা দেয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাগরপারের ইউনিয়ন বাহারছড়া এখন মানবপাচারের কেন্দ্র বলে অভিযোগ উঠেছে। পাচারকারীদের মারধরে একজন ভুক্তভোগী নিহত হয়েছে।
ডেরা থেকে পালাতে গিয়ে পাচারকারীদের হাতে আহত হয়েছে আরো পাঁচজন। নিখোঁজ রয়েছে একজন। সাগরপথে পাচারকালে এভাবে গত তিন মাসে দুই শতাধিক মানুষ উদ্ধার হয়েছে বলে খবরে প্রকাশ।
সর্বশেষ এই এলাকা দিয়ে পাচারকালে সোমবার রাতেও ১৯ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুকে উদ্ধার করেছেন পুলিশ ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তিন পাচারকারীকে আটক করা হয়।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, কক্সবাজারের সাগরপথ দিয়ে মানবপাচার মাঝখানে একপ্রকার বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে পাচারে আবার গতি ফিরেছে। টেকনাফের পাহাড়ঘেঁষা ও উপকূলীয় বাহারছড়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কচ্ছপিয়া, বড়ডেইল ও বাঘঘোনা নামের তিনটি গ্রামে আছে মানবপাচারকারীদের ডেরা।
পাহাড়ের পাদদেশে তৈরি করা এসব ডেরায় দূর-দূরান্ত থেকে নারী-পুরুষ ও শিশুদের এনে বন্দি করে রাখা হয়। ঘরগুলোতে একবার ঢুকলে আর বের হওয়ার কোনো সুযোগ থাকে না। মাসের পর মাস ধরে পাচার করার জন্য লোকজনকে এসব ঘরে আটকে জিম্মি করে মারধরের মাধ্যমে আদায় করা হয় টাকা। জনপ্রতি দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত আদায়ের পর তাদের সাগরে নৌকায় তুলে দেওয়া হয়।
এসব প্রতিরোধের ক্ষেত্রে আমাদের যেমন আইনি ব্যবস্থার অপ্রতুলতা রয়েছে, তেমনি আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীগুলোর বড় ধরনের নিষ্ক্রিয়তা রয়েছে বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। এ রকম আরো অনেক মানবপাচারকারী চক্রই সারা দেশে সক্রিয় রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর অভিযানে কিছু দালাল ধরা পড়লেও মূল হোতারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে।
মানবপাচারের বেশির ভাগ মামলার বিচার ও তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাচ্ছে। যেসব মামলা আলোর মুখ দেখেছে, সেগুলোর বেশির ভাগই বিচারাধীন। আমাদের প্রত্যাশা, আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এই জঘন্য অপরাধের অবসান ঘটবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন