English

17 C
Dhaka
সোমবার, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫
- Advertisement -

কঠোর ব্যবস্থা নিন: আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি

- Advertisements -
এক শ্রেণির মানুষ পুলিশ-প্রশাসন, বিচারব্যবস্থা, মানবিক মূল্যবোধ—কোনো কিছুরই তোয়াক্কা করছে না। মানুষের মধ্যে বোধ হয় অস্থিরতাও বেড়ে গেছে। অবনতি ঘটছে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির। অথচ দেশ অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে চলেছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতাও কমেছে। এই সময়ে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে কেন? অপরাধীরা কি কোনো পরিস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে?
সারা দেশেই অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে। মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার আটিপাড়া গ্রামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে রাজধানীর শাহবাগ এলাকা থেকে ছিনতাইয়ের অভিযোগে তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে উৎপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (উৎব)।
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের বাঁধেরহাটে দুই কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ বলছে, কিশোর গ্যাংগুলোর কাছে প্রচুর অবৈধ অস্ত্র রয়েছে। গত শনিবার কুমিল্লা নগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের দুই গ্রুপের সদস্যদের মধ্যে দেশি অস্ত্রের মহড়া, ককটেল বিস্ফোরণ ও ধাওয়াধাওয়ির ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্রসহ ৯টি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হাটশ হরিপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীর চর থেকে এক যুবকের আট টুকরা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এক যুবককে আটক করেছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব খবরে এটি স্পষ্ট যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকেই যাচ্ছে। আগে বহুবার বহুভাবে বলা হয়েছে, দেশে অবৈধ অস্ত্র ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। মাদক যুবক-তরুণদের ছাড়িয়ে উঠতি বয়সের কিশোরদের কাছেও সহজলভ্য হয়ে উঠেছে।
মাদক রোধ করা না গেলে তার সর্বনাশা প্রভাব সমাজের ওপর পড়বেই। বেড়ে যাবে অপরাধপ্রবণতা। এমন আশঙ্কার কথা নানা মহল থেকে বারবারই বলা হয়েছে। কিন্তু মাদক নিয়ন্ত্রণে ব্যাপকভাবে কী এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে?
মাদকসহ অস্ত্র-বিস্ফোরকের চোরাচালান প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ভঙ্গুর বা দুর্বল সীমান্তরক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও অতীতে অনেক কথা হয়েছে, কিন্তু পরিস্থিতির বিশেষ উন্নতি হয়েছে—এমনটি বলা যাবে না।
সব সমাজে সব কালেই অপরাধ ছিল এবং এখনো আছে। এর মধ্যে যেসব সমাজ বা দেশে বিচার আছে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর পদক্ষেপ আছে; সেসব সমাজে অপরাধের মাত্রা খুবই কম। যখনই যে সমাজে বিচার ও নিয়ন্ত্রণের অভাব হয়, তখনই সে সমাজে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যায়।
জনজীবনের শান্তি বিঘ্নিত হয়। দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাগুলো ঘটছে, তা কোনো সুস্থ সমাজের লক্ষণ নয়।
লক্ষ করলে দেখা যাবে, দেশের আইনি প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতা শান্তিকামী মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হচ্ছে। অনেক অপরাধী আইনের ফাঁক গলে যেমন বের হয়ে যায়, তেমনি দুর্বল অভিযোগপত্রও অনেক অপরাধীকে সহজে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
আইনি দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে অপরাধীচক্র ফিরে আসে জনপদে। নতুন করে সক্রিয় হয় অপরাধে। প্রচলিত আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক অনুশাসন ও মূল্যবোধগুলো ফিরিয়ে আনতে হবে।
Notify of
guest
0 মন্তব্য
সবচেয়ে পুরাতন
সবচেয়ে নতুন Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
Advertisements
সর্বশেষ

আল কোরআন ও আল হাদিস

- Advertisements -
এ বিভাগে আরো দেখুন