প্রকাশিত খবরে বলা হয়, নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নন্দকুঁজা নদীতে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার অভিযান চালিয়ে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপ জব্দ করা হয়েছিল, কিন্তু থামেনি বালু উত্তোলন। নতুন পাইপ লাগিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
শুধু গুরুদাসপুর নয়, সারা দেশেই চলছে এমন অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন।
গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত এমন বহু খবর প্রকাশিত হচ্ছে। দেখা যায়, বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় বাঙ্গালী নদী থেকেও চলছে অবাধে বালু উত্তোলন। অভিযোগ আছে, স্থানীয় প্রশাসনকে হাত করেই চলে অবৈধ ও ক্ষতিকর এই ব্যবসাটি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বরাবরই স্থানীয় প্রশাসনের জবাব থাকে, অভিযান চালানো হবে কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এত দিন কেন ব্যবস্থা নেওয়া হলো না, তার কোনো সদুত্তর পাওয়া যায় না।সাধারণত এসব বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেট খুবই প্রভাবশালী। আর্থিক প্রভাবের পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক প্রভাবও। অনেকের অবৈধ অস্ত্র বা পেশিশক্তির সমর্থনও থাকে। তাই সাধারণ মানুষ তাদের খুব ভয় করে। ক্ষতিগ্রস্ত হলেও তারা প্রতিবাদ করতে পারে না।তা সত্ত্বেও কোথাও কোথাও অতীতে প্রবল প্রতিবাদের ঘটনা ঘটেছে। রক্তক্ষয়ও হয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের কঠোর ইচ্ছার অভাবে আজও এই অবৈধ বালু উত্তোলনের ব্যবসা বন্ধ হয়নি, বরং উত্তরোত্তর তা বেড়েই চলেছে।নাটোরের গুরুদাসপুর এবং বগুড়ার শেরপুরসহ সারা দেশে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। অবৈধ বালু উত্তোলনের কারণে নদীতে ভাঙন সৃষ্টি হলে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা চাই, অবিলম্বে অবৈধ ও অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধ করা হোক।