ফুটপাতে দোকান বসানোর জন্য চাঁদা দিতে হয়। পাড়া-মহল্লায় গৃহস্থালি বর্জ্য বহনকারীদেরও চাঁদা দিতে হয় প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়। স্থায়ী দোকান, হাটবাজারেও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এরই মধ্যে যৌথ বাহিনী এমন অনেককে আটকও করেছে। রাজধানীর বাইরে অন্যান্য শহর, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও ছড়িয়ে পড়েছে চাঁদাবাজি।
নতুন আরেক ধরনের চাঁদাবাজিও চলছে এখন। হত্যাসহ নানা অভিযোগে কয়েক শ মানুষকে আসামি করে মামলা দেওয়ার পর আসামিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়।
৫ আগস্টের আগে চাঁদাবাজি করতেন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, এখন সেই স্থান দখল করেছেন অন্য দু-একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। অর্থাৎ চাঁদাবাজির হাতবদল হয়েছে মাত্র। আর এই চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
আবার চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়েও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। গত ৩০ অক্টোবর রাতে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করতে গিয়ে হাসান হাওলাদার নামের এক লেগুনাচালক নিহত হন। আমরা আশা করি, রাজধানীসহ দেশব্যাপী চাঁদাবাজদের দমনে পুলিশ কঠোর ভূমিকা পালন করবে।